যুদ্ধ এবার তৃণমূল-বিজেপির! বনধের অসমে বাঙালি-নিধন যজ্ঞে খোঁজ আলফা-যোগের
এনআরসি ইস্যুর পর অসম পরিদর্শনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হয়েছিল তৃণমূলের। তারপর ফের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যাচ্ছে অসমে।
এনআরসি ইস্যুর পর অসম পরিদর্শনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হয়েছিল তৃণমূলের। তারপর ফের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যাচ্ছে অসমে। এবার অসমের তিনসুকিয়ায় বাঙালি নিধন-যজ্ঞের প্রতিবাদে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। রবিবার ডেরেক ও'ব্রায়ানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল সমবেদনা জানাবে নিহতদের পরিবারকে।
তিনসুকিয়ায় গণহত্যার পর ফুঁসছে অসম। বাঙালিরা জোট বেঁধেছে। তারই মধ্যে চলছে বনধ। শুনশান রাস্তা। মাঝেমধ্যেই নিস্তব্ধতা ভেদ করে আসছে কান্নার রোল। এরই মধ্যে তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়ান, নাদিমূল হক, মমতাবালা সরকার, মহুয়া মিত্রের আগমনের পর ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াবে না তো! অসম সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এখন থেকে। কারণ গতবার এনআরসি ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের বিমানবন্দর থেকেই বের হতে দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে একই পরিবারের তিনজন-সহ মোট পাঁচজন বাঙালিকে নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে উঠে আসে আলফা জঙ্গি-যোগ। পরে আলফা জঙ্গি সংগঠনের তরফে এই দায় অস্বীকার করা হয়। যদিও শনিবার এই ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আলফা জঙ্গি লিঙ্কম্যান বলে মনে করছে অসম প্রশাসনে। ফলে ফের অসম গণহত্যার পিছনে উঠে আসছে আলফা জঙ্গি-যোগ।
অসম পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দেখলাই গগৈ। তার সঙ্গে আলফা-যোগের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। দেখলাই আলফা লিঙ্কম্যানের কাজ করত। ঘটনার সময় সে ঢোলা সাদিয়া ব্রিজের কাছে ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এদিকে শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া আলফা নেতা মৃণাল হাজারিকার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই ঘটনায় জিতেন দত্ত নামে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। ধৃত জিতেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃণাল হাজারিকাকে উত্তেজক বক্তব্য রাখার জন্য গ্রেফতার করা হয়। কিছুদিন আগে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালিকে খুনের পর তাঁকে গ্রেফতার করে এই ঘটনার সঙ্গে আলফা-যোগ প্রমাণিত করতে চাইছে বিজেপি সরকার।
শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হয়েছে অসমে। এদিন অসমজুড়ে ১৪টি বাঙালি সংগঠনের ডাকে ২৪ ঘণ্টার বনধ পালিত হল। রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই বনধের প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ দোকানই বন্ধ। রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। বনঝ সমর্থনকারীরা লামডিঙে ট্রেন অবরোধ করে। আটকে পড়ে ব্রহ্মপুত্র মেল-সহ অন্য ট্রেনও। নওগাঁয় উত্তেজনা প্রশমনে ১৭ জন বনধ সমর্থককে আটক করা হয়। এদিন ১৪ সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসেও কোনও কথা হয়নি।