সংসদে ধর্না কর্মসূচি, জানেন না মমতার দলের অনেক সাংসদ, কার ভুলে এমন ঘটনা
এফআরডিআই নিয়ে ধর্না কর্মসূচি। অথচ জানেনই না অনেক তৃণমূল সাংসদ। সূত্রের খবর এমনটাই। যদিও রাজ্যসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা বলেছেন, সব সাংসদকেই বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে।
এফআরডিআই নিয়ে ধর্না কর্মসূচি। অথচ জানেনই না অনেক তৃণমূল সাংসদ। সূত্রের খবর এমনটাই। যদিও রাজ্যসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা বলেছেন, সব সাংসদকেই বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে।
ফিনান্সিয়াল রেজোলিউশন অ্যান্ড ডিপোজিট ইনসিওরেন্স বিল। বিলটি এখনও সংসদে পাশ হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিল আইনে পরিণত হলে, দেউলিয়া ঘোষণার মুখে থাকা ব্যাঙ্কে রাখা টাকা ফেরত পাওয়া ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত থাকতে পারবেন না গ্রাহকরা। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পাল্টা দাবি, সুরক্ষা নিশ্চিত করবে কেন্দ্রই।
ফিনান্সিয়াল রেজোলিউশন অ্যান্ড ডিপোজিট ইনসিওরেন্স বিল প্রত্যাহারের দাবিতে দলীয় নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন। শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই বিলটি নিয়ে সুর চড়াতে মৌখিক নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ১৫ ডিসেম্বর তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে আলোচনাও হয়েছিল। এরপরেই অনেক সাংসদের কাছে বিষয়টি নিয়ে খবর না থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। কেউ কেউ আবার বলছেন মুকুল রায়ের প্রভাব পড়েছে দলে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গে কথা বললে, তিনি প্রশ্ন করেন ধরনা? বিষয়টি নিয়ে কেউ তাঁকে কিছু বলেননি বলেই জানান তিনি। অপর সাংসদ সৌগত রায়েও অবস্থা ছিল একই রকমের। প্রথমে তিনি বলেন, ধরনা নিয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই। পরে তিনি নিজেই ধরনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সংসদভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির নিচে ধরনা দেওয়া হবে।
যদিও এফআরডিআই নিয়ে তৃণমূলের ধরনা প্রসঙ্গে সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, সবাইকেই বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছিল। করা হয়েছিল এসএমএসও।
দলীয় নেত্রী ধরনার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিন কয়েক আগেই। দলীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ দাবি করছেন, তিনি সব সাংসদকেই জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে একাধিক সাংসদ জানাচ্ছেন, তাঁরা জানেন না কিছুই। তবে কি এফআরডিআই বিষয়টিই স্পষ্ট নয় সাংসদদের কাছে। এখন কে ঠিক বলছেন সেখানেই উঠছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিজেপির তথাকথিত চাপে দলীয় সাংসদদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব প্রকট হচ্ছে। নাকি মুকুল রায়ের নজর পড়েছে দলের ওপর। ভবিষ্যতে সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।