বিজেপিকে এবার রাজ্যসভাতেও চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি তৃণমূল, এককাট্টা বিরোধী মত
এবার রাজ্যসভাতেও সম্মিলিত জোট চিত্র দেখাতে বদ্ধপরিকর বিরোধীরা। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন নিয়ে কোমর বাঁধছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার রাজ্যসভাতেও সম্মিলিত জোট চিত্র দেখাতে বদ্ধপরিকর বিরোধীরা। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন নিয়ে কোমর বাঁধছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তারা এবার এই নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে। সেইসঙ্গে বিরোধীদের এক করে বিজেপি তথা এনডিএকে বার্তা দিতে চাইছে তারা। খুব শীঘ্রই বিরোধীদের সবাইকে এক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানে পি জে কুরিয়েনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ জুন। তার মধ্যেই ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে। রাজ্যসভায় বর্তমানে সমান সমান অবস্থা। কিন্তু এনডিএ শরিকরা অনেকক্ষেত্রেই টলমল করছেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিজেপিকে ঝটকা দিতে চাইছে বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন:পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি! টুইট করে কেন্দ্রের কাছে যা দাবি মমতার]
রাজ্যসভার ভিতরে জোট-চিত্র দেখিয়ে বিজেপির ঘুম কেড়ে নেওয়াই লক্ষ্য বিরোধীদের। ২৪৫ সদস্যের রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে জিততে গেলে ন্যূনতম ১২২টি ভোট পেতে হবে। এই অবস্থায় বিরোধীদের সম্মিলিত ভোট ১১৭। অর্থাৎ এখনও অন্তত পাঁচটি ভোট লাগবে রাজ্যসভায় জিততে গেলে। আর তা সম্ভব তেলেগু দেশম পার্টি অর্থাৎ চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের ৬টি ভোট পেলে। সেটাও খুব কষ্টকর নয় বর্তমান পরিস্থিতিতে।
সেই লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসই এবার প্রার্থী দিতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসও এক্ষেত্রে এই পদ তৃণমূলকে ছেড়ে দিতে কোনও আপত্তি জানাবে বলেও মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। আর অঙ্ক বলছে, এই ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বিজু জনতা দলের ৯ সদস্য, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির ৬ সদস্য, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ২ সদস্য। এই ১৭ জনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে রয়েছে নিজেদের ৬৯ ও এনডিএ-র সদস্য মিলে ১১৫টি ভোট।
[আরও পড়ুন:মহেশতলায় কঠোর নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, আগ্রহ শুধু দ্বিতীয় স্থানের লড়াই নিয়ে ]
তবে নির্দল প্রার্থী অমর সিংয়ের ভোট ও এআইএডিএমকের ১৩ জনের সমর্থনও ফ্যাক্টর হবে এই নির্বাচনে। সব মিলিয়ে রাজ্যসভার জেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি। বিরোধীদের অ্যাডভান্টেজ অবস্থা কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বাজিমাত করতে বদ্ধপরিকর। সেইমতোই কৌশল সাজাচ্ছে তৃণমূল। কর্ণাটকের পর আগামী লোকসভার লক্ষ্যে রাজ্যসভায় সম্মিলিত জোটের বার্তা দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য বিরোধীদের।