একলা চলো নীতি নিয়েই হাঁটছে তৃণমূল! ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে তৈরি রণনীতি
ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এখনও স্পষ্ট নয় বিরোধীদের অবস্থান। বাম-কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াইয়ের ব্যাপারে ঐক্যমত্য হলেও এখনও ঘোষণা হয়নি জোট। এদিকে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে।
ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এখনও স্পষ্ট নয় বিরোধীদের অবস্থান। বাম-কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াইয়ের ব্যাপারে ঐক্যমত্য হলেও এখনও ঘোষণা হয়নি জোট। এদিকে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। অপর বিরোধী দল তৃণমূল কোন পন্থা নেবে ত্রিপুরায়, তা নিয়েই এদিনের বৈঠকৈ কি চূড়ান্ত রূপরেখা মিলল?
সূত্রের খবর তৃণমূল আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে একলা চলো নীতি নিয়ে এগোতে চাইছে। শুক্রবার ত্রিপুরার রণনীতি তৈরিতে তৃণূমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেব।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে, কোন ইস্যতে প্রচার, কার সঙ্গে জোট করে নির্বাচন লড়বে তৃণমূল, তার নীল নকশা তৈরি করতে এদিন বৈঠক হয়। এদিন রণকৌশল নিয়ে কথা হলেও এখনও চূড়ান্ত নয় জোট পরিকল্পনা। আপাতত একলা চলো নীতি নিচ্ছে তারা। তবে সমঝোতার পথও খোলা রাখা হচ্ছে।
সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করে তারা এগোবে না তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা তৃণমূলের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি বলেন, তৃণমূল বরাবার একলা চলায় বিশ্বাসী। আমরা একাই একশো। আমাদের সম্পদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত আমরা একলা চলারই পক্ষপাতী।
তৃণমূল বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাঁরা টিপ্রামোথার সঙ্গে জোটের কথা চালাচ্ছিল। সেই সম্ভাবনার দুয়ার তারা খুলে রাখছে। তারা মনে করছে, বাম-কংগ্রেস জোটের ফল কী হয়েছে তা দেখেছে বাংলা। এখানেও একই পরিস্থিতি হবে আর ত্রিপুরার আদিবাসী স্বশাসিত পর্ষদ নির্বাচনে টিপ্রামোথা দেখিয়েছে তাঁদের হাতে ২০-২১টি আসনের ভাগ্য নির্ভর করছে। এই সূত্র ধরেই তৃণমূল তাদের সঙ্গে জোটের রাস্তা খুলে রাখছে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, আগামী মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন ত্রিপুরায়। তাঁরা জনসভা করবেন। উপনির্বাচনের কথা ভুলে যান, এবার দেখবেন তৃণমূল ভালো ফল করবে। তিনি বলেন, তৃণমূল ভোট কেটে সুবিধা করে দিতে আসেনি বিজেপিকে। কংগ্রেস বিজেপির মোকাবিলা করতে পারছে না, তাই তাদের আসতে হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়করা শুধু তৃণমূলে চলে যায়। পাল্টা কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলই কংগ্রেস নেতাদের ভাঙিয়ে বিজেপিতে পাঠিয়ে দেয়, আর কংগ্রেসের ভোট ভাঙিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দেয়।
এদিকে সুস্মিা দেব বলেন, ২০১৮ সালে বাম ভোট বিজেপিতে গিয়েছিল। এখন আবার বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছে। যাঁরা বিজেপিকে চায় না তাঁরা বামেদের দিকেও যাবেন না। আবার বামেদের শক্ত ঘাঁটিতে দেখা যাচ্ছে টিপ্রামোথা ভালো ফল করেছে। তাঁর বার্তাতেও টিপ্রামোথার সঙ্গে জোট জল্পনা বজায় থাকছে।