বিজেপিকে মাত দিতে ত্রিপুরায় নয়া প্ল্যান তৃণমূলের, প্রতি সভায় যোগদান চাইছেন পীযুষ
ত্রিপুরা বিধনাসভা নির্বাচনের আগে বড়ো জনসভার দিকে না ঝুঁকে ছোটো ছোটো পথসভাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল মূলত উদ্যোগী ছোটো সভা করে মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করতে।
ত্রিপুরা বিধনাসভা নির্বাচনের আগে বড়ো জনসভার দিকে না ঝুঁকে ছোটো ছোটো পথসভাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল মূলত উদ্যোগী ছোটো সভা করে মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করতে। আর প্রতিটি সভাতেই যোগদান করানো হচ্ছে। দলের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচারেও এগিয়ে থাকার চেষ্টা করছে।
দক্ষিণ ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিলোনিয়া ১ নম্বর টিলা বাজারের কাছে এক পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযুষকান্তি বিশ্বাস। ত্রিপুরা মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি পান্না দেব।
এই সভাতেই বিসিনগর আরডি ব্লকের ২৬টি পরিবার বিভিন্ন দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে। রাজ্য সভাপতি পীযুষকান্তি বিশ্বাসের উপস্থিততে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন। এই সভা থেকে পীযুষকান্তি একহাত নেন বিজেপিকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে সুশাসন দেবে বলেছিল। কিন্তু ত্রিপুরায় সুশাসন আসনি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে বলেছিলেন। কিন্তু আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়নি। বেকার সমস্যার সমাধান হবে বলেছিল, তাও হয়নি। মিসড কলে চাকরি হবে বলে জানিয়েছিল, চাকরি হয়েছে কারও?
বিজেপির শসানে সপ্তম বেতন কমিশন লাগু হয়নি। কর্মচারীদের ভাতা ৩৪০ টাকা করে হয়নি। আজ ত্রিপুরায় ৯ লক্ষ বেকার। এই বেকার সমস্যার সমাধান করতে হলে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। বিগত ৫ বছরে তেমন কোনও চেষ্টা হয়নি। কোনও প্রতিশ্রুতি বিজেপি সরকার পালন করেনি। উপরন্তু গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে।
বিজেপির এই মিথ্যাচার কেউ মেনে নিচ্ছেন না। তাঁরা এখন গুন্ডা বাহিনী দিয়ে রাজ্যের শাসন কায়েম করতে চাইছে। মানুষ এবা ঐক্যবদ্ধ। তাঁরা এবার আর বিজেপিকে কোনও জায়গা দেবেন না। তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরার মাটিতে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এখন তৃণমূলই ত্রিপুরার একমাত্র বিকল্প।
ত্রিপুরায় বিজেপিকে টক্কর দিতে জনজাতি ভোটকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরার জনজাতি এলাকায় প্রচারে জোর দিয়েছে তাঁরা। সম্প্রতি ত্রিপুরার করবুকে একটি সভা করে ১০৫ পরিবারকে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল চাইছে ত্রিপুরার পিছিয়ে পড়া জনজাতির পাশে দাঁড়াতে।
ত্রিপুরা প্রদেশ তণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের উপস্থিতিতে এলাকার ১০৫ পরিবার তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেয়। তৃণমূল করবুকের সভার পাশাপাশি সোনামুড়ায় এদিন প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা করে। এখানেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেব উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন প্রদেশ তৃণমূলের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি পীযুষকান্তি বিশ্বাস। এখানেও ২৬টি পারিবার বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।