উত্তাল লোকসভা, দিল্লিতে তৃণমূল ভবনে 'পাপড়ি চাট' পার্টিতে মাতলেন ডেরেক-কাকলিরা
উত্তাল লোকসভা, দিল্লিতে তৃণমূল ভবনে 'পাপড়ি চাট' পার্টিতে মাতলেন ডেরেক-কাকলিরা
ডেরেক ও ব্রায়েনের পাঁপড়ি চাট মন্তব্য সুপার হিট হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। লোকসভায় যখন তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক মহলে। ঠিক তখনই দিল্লির তৃণমূল ভবনে রীতিমত জমিয়ে পার্টি করলেন সাংসদরা। পাপড়ি চাট খাওয়ার পার্টি। তাতে সামিল হয়েছিলেন পার্টির মূল হোতা ডেরেক ওব্রায়েন। ছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদাররাও। পাপড়ি চাট পার্টি করে এক কথায় মোদীকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন ডেরেক ওব্রায়েন। কারণ তৃণমূল সাংসদের পাপড়ি চাট মন্তব্য নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাজেই মোদীর এই সমালোচনায় যে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন সাংসদ।
ডেরেকের পাপড়ি চাট মন্তব্য
লোকসভা এবং রাজ্য সভা দুই অধিবেশনেই তুমুল হট্টগোল। প্রবল বিক্ষোভ, হইচই যার জেরে প্রায় মুলতুবি করে দিতে হচ্ছে অধিবেশন। অনেক সময়ই বিরোধীরা ওাক আউট করছেন। বিক্ষোভ দেখিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন অধিবেশন থেকে। আর এই সুযোগে একের পর এক বিল পাস করিয়ে যাচ্ছেন মোদী সরকার। এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। গতকালই তিনি টুইটে লিখেছিলেন বাদল অধিবেশনে মোদী সরকার বিল পাস করছে না তো পাপড়ি চাট বানাচ্ছে। টুইটে বিল পাস হওয়ার সময় সীমা উল্লেখ করেই টুইটে লিখেছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই সংসদের দুই কক্ষই পেগাসাস ইস্যুেত উত্তাল। বিরোধীরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
পাপড়ি চাট পার্টি
মোদী সরকারকে নিশানা করে দিল্লিতে তৃণমূল ভবনে আজ পাপড়ি চাট পার্টি করলেন সাংসদরা। ডেরেক ওব্রায়েনের পাপড়ি চাট মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে হয়েছে। তারপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডেরেক এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাতে বিন্দুমাত্র চিন্তিত না হয়ে উল্টে প্রতিবাদের জোর আরও বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দিল্লির তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে পাপড়ি চাট পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। মূল উদ্যোক্তা ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন। সেই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন অন্যান্য সাংসদরাও। ছিলেন কাকলি ঘোষদস্তিদারও। সেই পাপড়ি চাট পার্টির ছবি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন তাঁরা।
উত্তাল রাজ্যসভা
বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল রাজ্যসভা। পেগাসাস ইস্যুতে সুর চড়িেয়ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। পেগাসাস ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জবাব দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তনু সেন রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। তারপরের দিনই শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস আনে বিজেপি সাংসদরা। এবং সংসদের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় শান্তনু সেনকে। তার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল কংগ্রেসও। এই ঘটনার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপিকে। শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করার পর রাজ্য সভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার তোরজোর শুরু করেন বিরোধীরা।
পেগাসাস ইস্যুতে একজোট বিরোধীরা
পেগাসাস ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দফায় দফায় বিরোধীদের একজোট করে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সেই বৈঠকে ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস। েসসময় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ছিলেন। একদিকে যখন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে বিরোধী ঐক্য মজবুত করার কথা বলছেন মমতা সেখানে কেন তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ রাহুলের ডাকা বৈঠকে নেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজনৈতিক মহল। তবে পরে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী দাবি করেন পেগাসাস ইস্যুতে তাঁর দল লড়াই চালিয়ে যাবে। এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিরোধীদের একজোট করে দাবি করে বসেন প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও বিষয়ে বিরোধীরা সংসদের দুই কক্ষে আলোচনা করবেন না। এমনকী কোনও বিল নিয়েও তাঁরা আলোচনা করবেন না। বাদল অধিবেশ শুরু হওয়ার পর থেকে ২ সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টার অধিবেশনের মধ্যে ৪০ ঘণ্টা নষ্ট হয়েছে বলে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এভাবে সংসদের আইন ভঙ্গ করলে সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে বার্তা দিয়েছিলন তিনি। কিন্তু তাতেও দমেননি বিরোধীরা লাগাতার নিজেদের বিক্ষোভ জারি রেখেছেন তাঁরা।