'বিক্ষোভ নিষেধ', নির্দেশিকা অমান্য করেই সংসদ চত্ত্বরে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনা তৃণমূলের
'বিক্ষোভ নিষেধ', নির্দেশিকা অমান্য করেই সংসদ চত্ত্বরে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনা তৃণমূলের
কোনও রকম বিক্ষোভ সংসদ চত্ত্বরে করা যাবে না এক প্রকার ফতোয়া জারি করা হয়েছে বাজেট অধিবেশনের পর। কিন্তু বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ জানানো গণতান্ত্রিক অধিকার। দেশের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে তার উপর কীভাবে িনষেধাজ্ঞা জারি করা যায়। তাই মঙ্গলবার সংসদ চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে টিএমসি সাংসদরা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, শান্তনু সেন সহ টিএমসি সাংসদরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সেখানে। তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন মেঘালয়ের সাংসদরাও।
সংসদে প্রতিবাদ টিএমসির
জিএসটি বাড়ানোর প্রতিবাদের সুর ২১ জুলাইয়ের মধ্যে েবঁধে দিয়েছিলেন টিএমসি সুপ্রিমো। তাঁর নির্দেশ মেনেই ক প্রকার সংসদের বাদল অধিবেশনে বিক্ষোভের ঝড় তুললেন টিএমসি সাংসদরা। সংসদ চত্ত্বরে জিএসটি বাড়ানোর প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, শান্তনু সেনরা। যদিও বিক্ষোভ দেখাতে বাধা দেয় টিএমসি সমর্থকরা। তবে পুলিশি বাধার মধ্যেও বিক্ষোভ দেখিয়ে যান তাঁরা।
সামিল মেঘালয়ের সাংসদরাও
টিএমসি সাংসদদের পাশাপাশি মেঘালয়ের সাংসদরাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন তাঁদের দাবি ছিল, গারো ও খাসি ভাষাকে অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। মুকুল সাংমারা তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মেঘালতেও সংগঠন বিস্তার করেছে টিএমসি। মুকুল সাংমারা টিএমসিতে যোগ দেওয়ায় সংগঠন আরও শক্তিশালী হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে গিয়ে সভা করে বিজেপিকে হারানোর ডাক দিয়েছেন। মেঘালয়কে দিল্লি শাসন করবে না মেঘালয়ের মানুষই মেঘালয় শাসন করবে বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন তিনি।
বিক্ষোভ নিষেধ
সংসদ চত্ত্বরে কোনও রকম বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। এক প্রকার হুলিয়া জারি করা হয়েছে। কিন্তু সেই সব হুলিয়া এক প্রকার অগ্রাহ্য করেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদরা। প্রথম দিন থেকেই জিএসটি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। তারপরে মঙ্গলবার আবার তাতে ইন্ধন যুগিয়েছে িটএমসি সাংসদরা। প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সংসদ চত্ত্বর। তাঁদের বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীদের বাধা অগ্রাহ্য করেই একপ্রকার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
অসংসদীয় শব্দ
এবার বাদল অধিবেশন বসার আগে থেকেই একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ শুরু করেছে বিরোধীরা। অসংসদীয় শব্দের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন বিরোধীরা। টিএমসি সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন তিনি অসংসদীয় শব্দের তালিকায় থাকা সব শব্দ ব্যবহার করবেন। পারলে তাঁকে আটকে দেখানো হোক। বিরোধীরা যে শব্দ ব্যবহার করেন সেগুলিই অসংসদীয় শব্দের তালিকায় রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা।
অসংসদীয় আচরণ! দোলা সেন-সুস্মিতা দেব সহ ১১ জন সাংসদ সাসপেন্ড রাজ্যসভায়