হরিদ্বার ধর্ম সংসদের মুসলিম গণহত্যার ডাক কি নেতাজি অনুমোদন করতেন? সংসদে মহুয়ার নিশানায় মোদী সরকার
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বলতে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী দেশের মধ্যে ধনী ও গরিব দেশের কথা বলেছিলেন। আর এদিন তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) রাষ্ট্রপতির ভাষণকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিন
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বলতে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী দেশের মধ্যে ধনী ও গরিব দেশের কথা বলেছিলেন। আর এদিন তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) রাষ্ট্রপতির ভাষণকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) থাকলে কি ধর্ম সংসদের (Dharam Sansad) মন্তব্য অনুমোদন করতেন?
রাষ্ট্রপতি একাধিকবার নেতাজির কথা উল্লেখ করেছিলেন
৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সংসদের প্রাক বাজেট যুগ্ম অধিবেশনে নিজের ভাষণে একাধিকবার নেতাজির কথা উল্লেখ করেছিলেন। এব্যাপারে মহুয়া মৈত্র বলেন, তিনি দেশের জনগণকে মনে করিয়ে দিতে চান, এই নেতাজি বলেছিলেন, সব ধর্মের প্রতি ভারত সরকারকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ মনোভাব এবং ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
নেতাজি কি ধর্ম সংসদের কথা অনুমোদন করতেন
একইসঙ্গে
মহুয়া
মৈত্র
প্রশ্ন
করেন,
যদি
নেতাজি
বেঁচে
থাকতেন,
তাহলে
কি
তিনি,
হরিদ্বার
ধর্ম
সংসদের
মুসলিম
গণহত্যার
হুঁশিয়ারির
কথা
অনুমোদন
করতেন?
মহুয়া
মৈত্র
১৯৩৮
সালে
বর্তমানে
বাংলাদেশের
কুমিল্লায়
দেওয়া
বক্তব্যের
কথা
উল্লেখ
করেন।
যেখানে
তিনি
বলেছিলেন,
সাম্প্রদায়িকতা
কুৎসিতভাবে
মাথা
তুলছে।
মহুয়া
বলেন,
নেতাজির
ন্যাশনাল
আর্মির
চিহ্নে
ছিল
টিপু
সুলতানের
বাঘ।
তিনি
বলেন,
সেই
টিপু
সুলতানকে
ইতিহাসের
পাঠ্যবই
থেকে
মুছে
দিয়েছে
এই
সরকার।
মহুয়া
বলেছেন
আইএনএ-র
মূলমন্ত্র
ছিল
তিনটি
উর্দু
শব্দ।
সেগুলি
হল
ইতিহাদ
(ঐক্য),
ইতমাদ
(বিশ্বাস)
এবং
কুরবানি
(ত্যাগ)।
সেই
উর্দু
ভাষাকেই
জম্মু
ও
কাশ্মীরের
প্রথম
ভাষা
হিসেবে
হিন্দিকে
দিয়ে
সরিয়ে
দিয়েছে
এই
সরকার।
সরকার ইতিহাসের পরিবর্তন করতে চায়
মহুয়া মৈত্র বলেছেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে সরকারের যে মূল্যায়ন করেছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত নন। তিনি বলেন, তিনি মূল্যবান একটি প্রশ্ন করতে চান, আমরা কোন ধরনের প্রজাতন্ত্র চাই? কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন আমাদের সংবিধান জীবন্ত। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত চাইব, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি শ্বাস নেবে। তাছাড়া এটি এক টুকরো কাগজ। যে কোনও সংখ্যাগরিষ্ট সরকার এর পরিবর্তন করতে পারে। তিনি অভিযোগ করেন সরকার ইতিহাস বদলাতে চায়। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে এই সরকার ভীত, এরা বর্তমানকেও অবিশ্বাস করে।
দেশকে ধ্বংস করছে
মহুয়া মৈত্র বলেন, ৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশের লড়াইয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এই সরকার। এরাই গুজরাতের মিউনিসিপ্যালিটিগুলিতে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, এই দায়িত্ব আমাদের ওপরেই বর্তায়, যাঁরা বলছেন দেশে পরিবর্তন দরকার। তবে তারা যুদ্ধের সময় বেছে নিতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেছেন মহুয়া মৈত্র।