Mahua Moitra: কেন মোদী সরকার Pappu নয়! ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এটা কি বললেন মহুয়া
কেন্দ্রকে কড়া ভাষাতে আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। বাজেটে অতিরিক্ত ব্যয়-বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধোনা তাঁর। মহুয়া বলেন, প্রত্যেক বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের অর্থ ব্যবস্থা মজবুত হচ্ছে বলে মানুষকে বিশ্বাস করতে ব
কেন্দ্রকে কড়া ভাষাতে আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। বাজেটে অতিরিক্ত ব্যয়-বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধোনা তাঁর। মহুয়া বলেন, প্রত্যেক বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের অর্থ ব্যবস্থা মজবুত হচ্ছে বলে মানুষকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করায় সরকার।
শুধু তাই নয়, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সহ সমস্ত সুবিধা পাচ্ছে বলেও জানায় সরকার।
কিন্ত্য ডিসেম্বর আসলে সমস্ত হাওয়া সরকারের বেরিয়ে যায় বলেও তোপ মহুয়ার। এমনকি আসল সত্য বেরিয়ে আসে বলেও মন্তব্য তাঁর।
শুধু তাই নয়, আগামী বাজেটের আগে অতিরিক্ত ৩.২৬ লক্ষ টাকা প্রয়োজন সেটা ডিসেম্বর মাসে এসে সরকারের মনে পড়ছে বলেও তীব্র আক্রমণ কৃষ্ণনগরের সাংসদের। আর এরপরেই সরকারকে পাপ্পু বলে আক্রমণ করেন তিনি।
মহুয়া বলেন, সরকার বিরোধীদের পাপ্পু বলে আক্রমণ করে। কিন্ত্য কে আসলে পাপ্পু বোঝা যাচ্ছে বলে মন্তব্য তাঁর। একেবারে পরিসংখ্যান তুলে ধরে সরকারকে পাপ্পু বলেও তোপ সাংসদের। এনএসও'র প্রকাশিত তথ্য তুলে ধরে মহুয়া দাবি করেছেন, দেশের শিল্প উৎপাদন অক্টোবরে চার শতাংশ কমে 26 মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
মানুষের রোজগার একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে দাবি তাঁর। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। আর সেই ইস্যুতেও এদিন বিজেপিকে আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ। ক্ষমতায় থাকা একটি পার্টির অধ্যক্ষের ঘরে বিজেপি হেরে যাচ্ছে। ফলে এক্ষেত্রেও পাপ্পু কে তা নিয়ে অধিবেশনে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মহুয়া মৈত্র।
অন্যদিকে ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান তুলে ধরেও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। মহুয়ার দাবি, মোদী সরকারের আমলেই সবথেকে বেশি মানুষ ভারতের নাগরিকত্ব ছেড়েছে।
আর এই ২০২২ সালের একটি হিসাব তুলে ধরেন সাংসদ। তাঁর দাবি, প্রথম ১০ মাসেই ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭৪১ জন মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। আর এক্ষেত্রেও সরকারকেই পাপ্পু বলে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন মহুয়া। বলে রাখা প্রয়োজন, রাহুল গান্ধীকে পাপ্পু বলে আক্রমণ করে থাকেন বিজেপি নেতারা। এমনকি মোদী-শাহের মুখে এহেন শব্দ শোনা যায়। এবার সেই শব্দেই বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ।