শুভেন্দুর কোপ সৌমেন্দুর উপর, প্রতিবাদী হলেন দিব্যেন্দু, অসন্তোষে পুরসভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত
শুভেন্দুর কোপ সৌমেন্দুর উপর, প্রতিবাদী হলেন দিব্যেন্দু, অসন্তোষে পুরসভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত
সৌমেন্দু অধিকারীকে পুর প্রশাসক পদ থেকে অপসারণের পরেই দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে দিব্যেন্দু বলেছেন এই নিয়ে তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কারণ জানতে চাইবেন। শুভেন্দুর দল বদলের কোপে কেন সৌমেন্দুর পদ ছিনিয়ে নেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকালই খড়দহের সভা থেকে নিজের পরিবারে পদ্মফুল ফোটানোর কথা বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধিতায় দিব্যেন্দু
ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে পুর প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ করার বিরোধিতায় এবার সরব হলেন দাদা দিব্যেন্দু অধিকারী। সরাসরি তিনি দলের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। প্রতিবাদে তিনি পুরসভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তবে দল বিরোধী কোনও কথাই বলতে শোনা যায়নি দিব্যেন্দুকে। এখনও দলেই রয়েছেন তিনি। এবং দলনেত্রীর প্রতি তাঁর আস্থা আছে বলেও মন্তব্য করেছেন দিব্যেন্দু। যদিও মেদিনীপুরে মমতার কর্মসূচিতে দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কাউকে।
অপসারিত সৌমেন্দু
গতকালই
শুভেন্দুর
খড়দহের
সভার
পরেই
কাঁথির
পুর
প্রশাসকের
পদ
থেকে
সরিয়ে
দেওয়া
হয়
সৌমেন্দু
অধিকারীকে।
শুভেন্দুর
বিজেপিতে
যোগদানের
পরে
এই
প্রথম
অধিকারী
পরিবারের
বিরুদ্ধে
কোনও
পদক্ষেপ
করল
তৃণমূল
কংগ্রেস।
এতোদিন
অধিকারী
পরিবারের
বিরুদ্ধে
কোনও
পদক্ষেপ
করা
হয়নি।
তবে
দলের
করোনা
কর্মসূচিতেও
অধিকারী
পরিবারের
কাউকে
দেখা
যায়নি।
এক
প্রকার
নিষ্ক্রিয়
হয়ে
পড়েছিলেন
তাঁরা।
শুভেন্দুর হুঙ্কার
শুভেন্দু অধিকারী গতকাল খড়দহের সভা থেকে হুঙ্কার দিয়ে বলেিছলেন ঘরেও পদ্ম ফুটবে। এখনও রাম নবমী আসেনি। রাম নবমী এলেই ঘরে পদ্ম ফোটাবেন তিনি। এমনকী হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেও পদ্ম ফুটবে বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের জবাবেই এই উত্তর দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই সৌমেন্দুকে প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। অধিকারী পরিবারের বিজেপিতে যোজদানের জল্পনা এখন তুঙ্গে।
শুভেন্দুর আস্ফালন
গত কয়েক দিনে একের পর এক সভা করে চলেছেন শুভেন্দু অধিকরী। প্রত্যেকটি সভাতেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণে শান দিয়েছে। নন্দীগ্রামে অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। মমতার নন্দীগ্রামের সভা বাতিলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেছেন, তিনি আসবেন শুনেই পগার পার। বুয়া-ভাতিজার সরকারকে সরাতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এমনকী সেকারণেই তিনি অন্যদল গড়েননি বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।