যেটা ভুল সেটা ভুলই! আবাস যোজনা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তায় রাজনীতির পাঠ দেবের
সম্প্রতি গোটা রাজ্যে আবাস যোজনায় কারচুপি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের তা নিয়ে প্রতিনিয়ত শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন বিরোধীরা।
সম্প্রতি গোটা রাজ্যে আবাস যোজনায় কারচুপি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের তা নিয়ে প্রতিনিয়ত শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন বিরোধীরা। এবার সেই আবাস যোজনা দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ঘাটালের অভিনেতা-সংসদ দেব ওকরফে দীপক অধিকারী।
তৃণমূলের সাংসদ এবার এই আবাস যোজনা দুর্নীতিতে নিজের দলের সমালোচনা করতেও ছাড়লেন না। তিনি বলেন, যাঁদের পাকা বাড়ি আছে তাঁরা ঘরের টাকা পেয়ে যাচ্ছেন, যাঁদের মাথায় ছাদ নেই তাঁরা পাচ্ছেন না! এটা ভুল হচ্ছে। সে আমার দলই হোক বা অন্য কোন দল, যেটা ভুল সেটা ভুলই।
সোমবার দাসপুরে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন অভিনেতা-সাংসদ দেব। এদিন রাজ্য রাজনীতির একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলতেও পিছপা হলেন না সাংসদ। আর এই প্রসঙ্গে তিনি রেয়াত করলেন না নিজের দলকেও। আবাস যোজনা দুর্নীতিতে তিনি দলের সমালোচনা করে বুঝিয়ে দিলেন, ভুল হলে শুধরে নিতে হবে।
শুধু দুর্নীতি ইস্যুতে নয়, তিনি রাজনীতিতে সৌজন্যের কথাও এদিন বললেন ফলাও করে। দেব বলেন, আমি আর মিঠুনদা যদি বাবা-ছেলের মতো থাকতে পারি, তাহলে সাধারণ মানুষ বা গ্রামের মানুষরা কেন লড়াই করছেন! রাজনীতি মানে মানুষের পাশে থাকা, আপদে-বিপদে পাশে গিয়ে দাঁড়ানো!
রাজনীতির নয়া পাঠ দিয়ে তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদ বলেন, রাজনীতির জন্য মারপিট করতে হবে কেন, কেন রক্তারক্তি করতে হবে? এই রাজনীতিতে আমি বিশ্বাস করি না। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গে ঠিক এমনই দাবি এদিন করে বসলেন অভিনেতা সাংসদ দেব।
দেবের পরামর্শ, কখনই একটা দল করলে, অপর দলকে শত্রু যেমন ভাবা উচিত নয়, তেমনই সমস্ত দলের নেতাদের মধ্যে সৌজন্যবোধ থাকা উচিত। উভয়কেই সৌজন্যরক্ষা করে চলা উচিত। একইসঙ্গে তিনি দলের নীচুতলার কর্মীদের কোন্দলে না জড়ানোর বার্তাও দেন।
একইসঙ্গে তিনি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যে কোনও বাঙালির স্বপ্ন একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেখা। সেই হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে কোনও বাঙালির খারাপ লাগার কথা নয়।
এদিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে আক্রমণ প্রসঙ্গে দেব বলেন, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবের কারণেই ট্রেনে ঢিল মারা হয় কিংবা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটা মোদী বা দিদির ট্রেন নয়, এটা মানুষের ট্রেন। এটা কোনও রাজনীতির বাহন নয়। দেশের মানুষকে সঠিকভাবে শিক্ষিত করা যাচ্ছে না। আর সেই কারণেই এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকতে হচ্ছে আমাদের।