গোয়া দখলের লক্ষ্যে ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে উড়ে গেলেন ডেরেক-প্রসূন! স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত
গত কয়েকদিন আগে এমনটাই হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, গোটা টিম সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের এই মুহূর্তে সেকেন্ড ইন কমান্ডের হুঁশিয়ারির পরেই গোয়া উড়ে গেলেন ডেরে
সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যে ঘাসফুল ফুটবে! গত কয়েকদিন আগে এমনটাই হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, গোটা টিম সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের এই মুহূর্তে সেকেন্ড ইন কমান্ডের হুঁশিয়ারির পরেই গোয়া উড়ে গেলেন ডেরেক ও ব্রায়েন এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সাতদিনের ঠাসা কর্মসূচী নিয়ে তাঁরা বিজেপিশাসিত রাজ্যে উড়ে গিয়েছেন বলে খবর। সব কিছু ঠিক থাকলে গোয়া যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাও কিনা দুর্গাপুজোর আগে।
আর এই খবর সামনে আসতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোয়াতে স্বাগত জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
আগামী লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে লোকসভার আগে ত্রিপুরা টার্গেট ফিক্সড করে ফেলেছেন তৃণমূল। তাঁদের দাবি, ত্রিপুরা দখল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যে প্রতিবেশী সে রাজ্যে সংগঠনকে মজবুত করেছে তৃণমূল। তবে ত্রিপুরায় ভোট ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে।
কিন্তু গোয়ায় ভোট প্রায় একবছর আগে অর্থাৎ ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে। সেই ভোটেই গোয়ার মতো রাজ্যে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চায় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। আর সেই কারনে ডেরেক ও ব্রায়েন এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে গোয়াতে কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। সে রাজ্যে ভোটের আগে সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাইপ্যাক। এমনকি গোয়াতে বেশ কয়েকজন নেতৃত্বের সঙ্গেও গত কয়েকদিন ধরে কথাবার্তা চালাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতারা। জানা গিয়েছে, গোয়া সফরে সেই সমস্ত নেতাদের সঙ্গে সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন ডেরেক। এছাড়াও গোয়ার মানুষের সঙ্গে কথা বলে পালস বোঝার চেষ্টা করতে পারেন তৃণমূল নেতারা।
এই টিমের রিপোর্ট পাওয়ার পরে সেখানে যেতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি সেখানে প্রচার শুরু করবেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, গোয়া বিধানসভার আসন সংখ্যা ৪০। যা কিনা ত্রিপুরার থেকেও কম। ২০১৭-র নির্বাচনে এই রাজ্যে কংগ্রেস ১৭ টি আসন দখল করেছিল। বিজেপি পেয়েছিল ১৩ টি আসন। যা সত্ত্বেও বিজেপিই সেখানে সরকার গঠন করে। গোয়ায় কংগ্রেসের দুর্বলতার সুযোগ তারা নিতে চায় বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে দেশের একাধিক রাজ্যে তৃণমূল তাঁদের সংগঠনকে মজবুত করতে মাঠে নেমে পড়েছে লোকসভা নির্বাচনের আগে। উত্তরপ্রদেশে একদিকে যেমন অফিস খুলে বিজেপিকে বার্তা দিয়েছেন মমতা অন্যদিকে দক্ষিনের একাধিক রাজ্যেও কাজ করছে শাসকদল। ইতিমধ্যে কর্নাটকেও সংগঠনকে মজবুত করতে কাজ করছে শাসকদল।