তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের ব্লক প্রেসিডেন্ট, সিপিএম-বিজেপি ছেড়েও দলে দলে যোগদান
তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের ব্লক প্রেসিডেন্ট, সিপিএম-বিজেপি ছেড়েও দলে যোগদান
একুশে নির্বাচনের পর বিভিন্ন রাজ্যে ইউনিট গড়তে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের মধ্যে ত্রিপুরা ছিল অগ্রগণ্য। কয়েক মাসের মধ্যে ত্রিপুরার পুরসভা নির্বাচনে নজরকাড়া ফল করলেও চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। একেবারে জামানত জব্দ হয়ে যায় তৃণমূলের। তবে তৃণমূল কংগ্রেস ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আর তিন মাস বাকি। তার আগে তৃণমূল ফের বাড়তে শুরু করেছে ত্রিপুরায়। মাস দুয়েক আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলে মিশে গিয়েছে সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক দল। তারপর ধারাবাহিকভাবে তৃণমূলে যোগদান পর্ব চলছে। শুক্রবার বনমালিপুরে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি পেল। বনমালিপুরে কংগ্রেসের ব্লক ওয়ার্কিং কমিটির সভাপতি শ্রীচণ্ডী ভট্টাচার্য। এবং তেলিয়ামুড়ায় সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ৩০০ জন সদস্য।
এদিন ত্রিপুরা তৃণমূলের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাগত জানান কংগ্রেস ছেড়ে আসা চণ্ডী ভট্টাচার্যকে। একইসঙ্গে সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে আসা ৩০০ কর্মী-সদস্যকে-এর উপস্থিতিতে সিপিআইএম এবং বিজেপি থেকে ৩০০ জন সদস্য আজ যোগ দিলেন আমাদের সঙ্গে। সকলকে দলে আন্তরিকভাবে স্বাগত।
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের নজর পড়েছে ত্রিপুরায়। দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরায় রাজ্যের একাধিক নেতা কাজ করে চলেছেন। আর সেই কাজের ফল এবার হাতেনাতে মিলছে বলে জানান তৃণমূলের নেতারা। কংগ্রেসকে ভেঙে ত্রিপুরায় তৃণমূল বাড়তে শুরু করেছিল। এখনও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এখন ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলের দিকে আসতে শুরু করেছে।
তৃণমূলের শক্তি ত্রিপুরায় আরও বেড়েছে একটি পার্টি আস্ত তাদের দলে মিশে যাওয়ায়। নিজের পার্টিকে তৃণমূলে মিশিয়ে দেওয়ার পর ত্রিপুরার ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সভাপতি পূজন বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই পূজন বিশ্বাসও আগে ছিলেন কংগ্রেসে। তিনি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে নতুন পার্টি করেছিলেন। তারপর তাঁর পার্টিকে তিনি কংগ্রেসে মিশিয়ে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি করলেন।
পাহাড়েও দলবদলের হিড়িক, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অজয়কে টেক্কা অনীতের