কংগ্রেসে ভাঙন ধরাল তৃণমূল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্লক সভাপতিকে ছিনিয়ে প্রত্যাঘাত
কংগ্রেস আর তৃণমূলের কোন্দলে পোয়াবারো বিজেপির। কংগ্রেস একদিন তৃণমূল ভাঙে তো অপরদিন তৃণমূল ভাঙছে কংগ্রেসকে। এই পরিস্থিতিতে খুশিতে আছে বিজেপি। বিরোধীরা যত ভাঙবে, ততই মঙ্গল। তেইশের বিধানসভার আগে বিজেপির স্বস্তি বাড়বে।
কংগ্রেস আর তৃণমূলের কোন্দলে পোয়াবারো বিজেপির। কংগ্রেস একদিন তৃণমূল ভাঙে তো অপরদিন তৃণমূল ভাঙছে কংগ্রেসকে। এই পরিস্থিতিতে খুশিতে আছে বিজেপি। বিরোধীরা যত ভাঙবে, ততই মঙ্গল। তেইশের বিধানসভার আগে বিজেপির স্বস্তি বাড়বে। ত্রিপুরায় রবিবার তৃণমূলকে ভেঙে শক্তি বাড়িয়েছিল কংগ্রেস, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের কংগ্রেসকে পাল্টা দিল তৃণমূল।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে
রবিবার তৃণমূল ছেড়ে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কংগ্রেসে ঘর ওয়াপসি করার পর সোমবার পাল্টা কংগ্রেসে থাবা বসাল তৃণমূল। কংগ্রেস ছেড়ে হারাধন দেবনাথ-সহ বহু নেতা ও কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। এর ফলে তৃণমূল ফের শক্তি বাড়াতে সম্ভবপর হল ত্রিপুরায়। কংগ্রেস ছেড়ে হারাধন দেবনাথের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
ব্লক কংগ্রেসের সভাপতির দলবদল
হারাধন দেবনাথ-সহ তাঁর সঙ্গী ৫০ জন নেতা ও কর্মীর হাতে পতাকা তুলে দিয়ে তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত জানান তৃণমূলের ত্রিপুরা ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। হারাধন দেবনাথ বিশালগড়ের ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে সোমবার তাঁদের দল ভাঙার বদলা নিলেন রাজীব।
তৃণমূলে যোগ দিয়েই পাল্টা হুঁশিয়ারি
হারাধন দেবনাথ এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে জানান, মানুষের জন্য কাজ করতে এই দলে এলাম। কংগ্রেস থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। আমি চাই রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করতে। বিজেপিকে হটাতে হবে। তাঁরা জনকল্যাণের কোনও কাজ করে না। আর কংগ্রেসের সেই মানসিকতা নেই। তাই তৃণমূলকেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মঞ্চ বলে মনে করছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসই ফের পরিবর্তন আনবে ত্রিপুরায়
হারাধনের কথায়, আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সারা রাজ্যে ও ভারতে তৃণমূল কংগ্রেস বিস্তার লাভ করবে। তৃণমূল কংগ্রেসই ফের পরিবর্তন আনবে ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। যে সরকার মানুষের জন্য কাজ করবে। সরকার গড়ে শাসন আর শোষণ করবে না তাঁদের সরকার।
তৃণমূল ছেড়েছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক
রবিবার তৃণমূলের কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাপ্টু চক্রবর্তী দলে ছেড়ে ফিরে যান কংগ্রেসে। তিনি বলেন, তৃণমূলের কোনও ভবিষ্যৎ নেই ত্রিপুরায়। এ রাজ্যে তৃণমূল এসেছে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম তৃণমূলের সদিচ্ছা রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার। মানুষের মধ্যে সেই ভুল ধারণা তৈরি হয়েছিল। এখন ত্রিপুরাবাসী বুঝেছে তৃণমূল এসে শুধু বিজেপির সুবিধাই করে দেবে। আখেরে কোনও লাভ হবে না। তাই কংগ্রেসে ফিরে যাচ্ছেন সবাই। কংগ্রেসই বিজেপিকে সরিয়ে ফের ক্ষমতায় আসবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেছিলেন, ওইসব নেতরা কোনও জনভিত্তি নেই। সম্প্রতি পুর নির্বাচনে সবাই যখ দ্বিতীয় হয়েছিল, বাপ্টু চক্রবর্তী তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন।