৮ জুন খুলছে তিরুপতি, তার আগে সীমিত সংখ্যক ভক্ত নিয়ে চলবে মন্দিরের দর্শন
৮ জুন খুলছে তিরুপতি, তার আগে সীমিত সংখ্যক ভক্ত নিয়ে চলবে মন্দিরের দর্শন
দেশের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে অনেক কিছুর ওপর থেকেই ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা উঠতে শুরু করেছে। অন্ধপ্রদেশ সরকার তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি)–কে অনুমতি দিয়েছে মন্দির খোলার এবং তিরুমালা মন্দিরে টিটিডি কর্মী ও স্থানীয় ভক্তদের নিয়ে মন্দির দর্শনের ট্রায়াল করা হবে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করা হবে দর্শনের বিষয়টি
টিটিডির অনুরোধে, যা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হিন্দু মন্দিরের কাজ পরিচালনা করে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সম্মতিতে রাজ্য সরকার এই অনুমতি দেয়। রাজ্য সরকারের বিশেষ মুখ্য সচিব জেএসভি প্রসাদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে টিটিডির পক্ষ থেকে তাদের কর্মী ও তিরুমালার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে দর্শনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, তিরুমালা মন্দিরের সব জায়গায় ও সবসময় সকলের মধ্যে ৬ ফিটের দুরত্ব বজায় রাখা হবে। ১২ মে টিটিডির এক্সিকিউটিভ অফিসারের অনুরোধে এই নির্দেশ জারি করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
৮ জুন থেকে খুলে যাবে দেশের ধর্মীয় স্থান
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ‘আনলক-পর্যায়-১' জারি হওয়ার একদিন পরই এই অনুমতি পাওয়া যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরজারি হওয়া নির্দেশে বলা হয়েছে দেশের সব ধর্মীয় স্থান ৮ জুন থেকে খুলে দেওয়া হবে। যদিও অন্ধ্র সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আনলক-পর্যায়-১ নিয়ে কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি। আন্তঃরাজ্য চলাচলের ক্ষেত্রে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। টিটিডির অনুমোদন অবশ্য ইঙ্গিত দেয় যে রাজ্য সরকার ৮ জুন থেকে ধর্মীয় স্থানগুলি পুনরায় চালু করার অনুমতি দিতে পারে।
সরকারের দিকে চেয়ে টিটিডি
টিটিডির চেয়ারম্যান ওয়াই ভি সুব্বা রেড্ডি জানিয়েছেন যে ২০ মে ভক্তদের ‘শ্রীবরী দর্শন' পুনরায় শুরু করা কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ফোন ও ই-মেল পাওয়ার পরই দর্শন বন্ধ করা হয়। কিন্তু এটা সরকারের ওপর নির্ভরশীল তারা লকডাউন তুলবে কিনা।
১৯ মার্চ থেকে মন্দির বন্ধ ছিল
১৯ মার্চ তিরুমালাতে দর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পর্বতে অবস্থিত মন্দিরটির প্রত্যেক মাসে ২০০ কোটি করে রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। রাজস্বের অভাবে টিটিডি কর্মীদের বেতন দিতেও পারেনি। বরং কর্মীদের বেতন মন্দিরের রক্ষনাবেক্ষন ও সুরক্ষার পেছনে খরচ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন মন্দিরে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ তীর্থযাত্রীর সমাগম হয়, যাঁরা মন্দিরের হুণ্ডিতে নৈবেদ্য দেন, যা মন্দিরের প্রধান আয়।
ফের পিছল উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা, নতুন পরীক্ষা সূচি জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়