সোনা বন্ধকের পর এবার গচ্ছিত নগদ আমানত মাসে মাসে ভাঙিয়ে খরচ চালানোর সিদ্ধান্ত তিরুপতির
করোনা ভাইরাস জনিত মহামারির কারণে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মন্দির তিরুমালায় ভক্তদের অভাবে অর্থের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, কারণ ভক্তদের অর্পণ করা অর্থেই মন্দির কতৃর্পক্ষ এই মন্দির পরিচালনা করে। এরকম পরিস্থিতিতে শুক্রবার তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তাদের রাখা মোট ১২ হাজার কোটি টাকার নগদ আমানতকে মাসিক সুদে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার সকালে তিরুমালায় হওয়া টিটিডি ট্রাস্ট বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত টিটিডি তিন মাসে এক বার, বছরের অর্ধেক সময়ে বা বার্ষিক ব্যাঙ্কগুলিতে নগদ আমানত তৈরি করেছিল এবং আমানতের পরিপক্কতার শেষে কেবল সুদ পাচ্ছিল। টিটিডির ট্রাস্ট বোর্ড চেয়ারম্যান ওয়াই ভি সুব্বা রেড্ডি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, 'এখন, আমরা এই সমস্ত আমানতকে তাৎক্ষণিক প্রভাবের সঙ্গে মাসিক সুদে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু প্রতি মাসে টাকা জমা দিয়ে তা সুদে পরিণত করা হবে যেটা দিয়ে বেতন দেওয়া, অন্যান্য ব্যয় বহন এবং ইশ্বরের নিয়মিত আচার অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।'
গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী টিটিডি ব্যাঙ্কে অর্থ গচ্ছিত রেখেছিল ১২ হাজার কোটি। ২০২০-২১ সালের আর্থিক বাজেট অনুযায়ী টিটিডি সুদ পাচ্ছিল ৭০৬ কোটি। হুন্ডির পর আমানতের ওপর সুদের হার এটা দ্বিতীয় উপার্জনের উৎস। এখন হুন্ডি বন্ধ থাকার কারণে এই দ্বিতীয় উৎসকেই কাজে লাগাবে তিরুপতি।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণেই তিরুপতিতে ভক্তের সমাগম আর হচ্ছে না, যার ফলে ভক্তদের মাধ্যমে আসা অর্থও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লকডাউনের সময় প্রায় ৮০দিন বন্ধ ছিল এই তিরুপতি। কিন্তু লকডাউন ওঠার পরও ভক্তদের ভিড় খুবই কমে গিয়েছিল।
কিছুদিন আগেই টিটিডি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তিরুমালা মন্দিরের স্বর্ণ ভান্ডার বন্ধক রেখে আরবিআইয়ের কাছ থেকে ঋণ নেবে। বর্তমানে সোনার আমানতে আড়াই শতাংশ আয় হচ্ছে। দীর্ঘ ১২ বছর পর্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদী সুদের আরও বেশি হার এনে দেবে।