
Uttarakhand Crisis: শপথ নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই পদ থেকে ইস্তফা মুখ্যমন্ত্রীর
ফের রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরাখন্ডে! শপথ নেওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন তিরথ সিং রাওয়াত। ইতিমধ্যে তাঁর পদত্যাগ পত্র বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে শনিবার সকালে রাজ্যপাল বেবি রানি মৌজ্যের কাছে গিয়ে সরকারি ভাবে তাঁর পদত্যাগ পত্র রাওয়াত তুলে দেবেন বলেই খবর।

জানা গিয়েছে, নতুন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা চূড়ান্ত করতে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসবেন সে রাজ্যের বিজেপি বিধায়করা। ভার্চুয়ালের মাধ্যমে এই বৈঠকে থাকতে পারেন অমিত শাহ, নাড্ডারাও। সেখানেই চূড়ান্ত হতে পারে আগামী মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী।
গত কয়েকদিন ধরেই তিরথ সিং রাওয়াতকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সম্ভবত সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও গুঞ্জন তৈরি হয় সে রাজ্যে। আর এই জল্পনার মধ্যেই দিল্লি উড়ে যান রাওয়াত। গত বুধবার দিল্লি উড়ে যান তিনি।
গভীর রাত পর্যন্ত নাড্ডার সঙ্গে তাঁর বৈঠক চলে বলে দাবি। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, এর মধ্যে কোনও জল্পনার কিছু নেই। দলের রুটিন মিটিং। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বল ছিলেন যে, এই বৈঠক মোটেই সাধারণ ছিল না। কার্যত এই বৈঠকের মাধ্যমে কার্যত রাওয়াতকে একপ্রকার কড়া বার্তা দেন নাড্ডা।
তাঁর একের পর এক মন্তব্যে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয় দলকে। শুধু তাই নয়, সে রাজ্যে তাঁর ইমেজ খুব একটা ভালো নয়। সে কারণে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। আর এই বৈঠকের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা তিরথ সিং রাওয়াতের।
বলা প্রয়োজন, গত কয়েকমাস আগেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন তিরথ সিং রাওয়াত। ভোটে না জিতেও এই পদে বসানো হয় তাঁকে। নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর উপ নির্বাচন রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে উপনির্বাচনের জন্য বিবৃতি জারি করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
উত্তরাখন্ডের দুটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ওই দুটি কেন্দ্র থেকে কখনই তিরথ সিং রাওয়াতের জিতে আসা সম্ভব নয়। অন্যদিকে তিরথ সিং রাওয়াতের পছন্দের আসনে এই মুহূর্তে উপ নির্বাচন হবে না। ফলে চাপ বাড়তে পারে। আর সেই কারণে আগেভাগে তিরথ সিং রাওয়াতকে সরিয়ে দিল বিজেপি। বিধায়কদের মধ্যে থেকে সৎ কোনও ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসাতে পারে বিজেপি।
উল্লেখ্য, রাওয়াতের আগে যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছিলেন তিনি দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয়, এই অবস্থায় বিজেপি চাইছে নতুন কোনও ভালো মুখ। যা দলের ইমেজকে তুলে আনতে সাহায্য করবে।