করোনা থেকে সেরে উঠে কী কী খেয়াল রাখবেন? পুজোর সময় সুস্থ থেকে যেভাবে আনন্দ করবেন
পুজোর ঢাক বাজতে শুরু করেছে। তবে এবারে করোনা আবহে পুজো হবে আগের তুলনায় আলাদা। কিন্তু পুজোয় মজা করার আগেই কী করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? পুজোর ভিড়ে বের হতে ভয় করেছ, নাকি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন? ফের করোনা হতে পারে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত? ভুগে যাঁরা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মনে খানিকটা হলেও আনন্দ। সেরে উঠেছেন যাঁরা, তাঁরা ভাবছেন একাকীত্বের পালা কিছুটা হলেও ঘুচবে। কিন্তু এই অবস্থাতেও থাকতে হবে সাবধানে।

সেরে উঠলেও আগের মতো সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে
রোগ সেরে গেলেই যে পুরোদস্তুর ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যায়, এমনটা কিন্তু নয়। তাই করোনা থেকে সেরে উঠলেও আগের মতোই সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে। করোনা হলে আংশিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তবে ভাইরাস লোড বেশি হলে কিন্তু ফের আক্রান্ত হওয়ার ভয় থেকে যাচ্ছে। কাজেই সাবধান হয়ে চলতে হবে।

অ্যান্টিবডি টেস্ট করবেন?
নির্দিষ্ট ভাবে নিজের সুরক্ষার বিষয়টি জানতে কী তবে অ্যান্টিবডি টেস্ট করে কী লাভ আছে? সেরো সার্ভেলেন্স নামক এই পরীক্ষা কেন করা হয়? কোনও এলাকায় কত জন আক্রান্ত হয়েছেন তার একটা মোটামুটি চিত্র পেতে এই পরীক্ষা করতে হয়। তবে করোনার বিরুদ্ধে সাধারণভাবে কার মধ্যে কেমন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছে ও তার ভিত্তিতে তিনি কত দিন কেমন নিরাপত্তা পাবেন, তাঁকে সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে কিনা তা এই পরীক্ষা করে নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।

ফের নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হবে কি?
সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলে এরপর ফের নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। তবে এই ভাইরাস সম্পর্কে সে রকম কিছুই জানা যায়নি এখনও। তাই দ্বিতীয়বার রোগ হবে না, এ কথা জোর দিয়ে বলা যাবে না। কিন্তু অন্য সংক্রমণ তো হতে পারে। কোমর্বিডিটা থাকা রোগীদের তাই আগের থেকেও সাবধানে থাকা উচিত।

যে কারণে জীবন সংশয় হতে পারে
যাঁদের শ্বাসকষ্ট হয়েছে, স্টেরয়েড বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে করোনা থেকে সেরে উঠলেও আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ দ্বিতীয়বার ভাইরাসের লোড বেশি হলে কিন্তু সেক্ষেত্রে জীবন সংশয় হতে পারে। তাই তাঁরা যেন খুব বেশি হেঁটে না ফেলেন, ফুসফুস সেই ধকল নাও সামলাতে পারে।

পুরোপুরি সুস্থ হতে কত দিন লাগবে?
উপসর্গহীন রোগীদেরও কোভিড নেগেটিভ হওয়ার পর কম করে দিন ১৫ অত্যন্ত সাবধানে থাকা দরকার। নিজের এবং অন্যের স্বার্থে। সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক, হাত ধোওয়া ইত্যাদি। যাঁদের মাঝারি থেকে জটিল রোগ হয়েছে, তাঁদের ২ থেকে ৩ মাস বা কখনও আরও বেশি সময় লাগতে পারে পুরোপুরি সুস্থ হতে। কারণ ফুসফুসের পাশাপাশি হৃদযন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্রের উপরও চাপ পড়ে এই ক্ষেত্রে।

সব নিয়মাবলি মানতে হবে
মাস্ক বা পরিচ্ছন্নতার, ভিড় এড়িয়ে চলার নিয়মের মধ্যে অন্য সুবিধাও আছে। ফ্লু, অ্যালার্জি, পেটের গোলমাল, জ্বরজারি-সর্দি-কাশি, টিবি বা সিওপিডি-র মতো সমস্যার প্রকোপ কম থাকবে। সব মিটে যাওয়ার পরও জীবন স্বাভাবিক হবে ধাপে ধাপে। বেড়াতে গেলে, সিনেমা বা রেস্তরাঁয় গেলে সব নিয়মাবলি মানতে হবে।
