কোন পথে সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহাসিক রায়, ঘটনা পরম্পরায় গোপনীয়তার অধিকার মামলা
গোপনীয়তারক্ষা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলার ঘটনাপ্রবাহ
গোপনীয়তা রক্ষাকে মৌলিক অধিকারের তকমা দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। এই ইস্যু কিন্তু একদিনের নয়। দু বছর ধরে সর্বোচ্চ আদালতে চলছে এই মামলা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গোপনীয়তা রক্ষা সংক্রান্ত মামলার ঘটনাপ্রবাহ। গোপনীয়তা রক্ষাকে মৌলিক অধিকারের তকমা দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। এই ইস্যু কিন্তু একদিনের নয়। দু বছর ধরে সর্বোচ্চ আদালতে চলছে এই মামলা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গোপনীয়তা রক্ষা সংক্রান্ত মামলার ঘটনাপ্রবাহ।
[আরও পড়ুন:গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের]
২১
জুলাই,২০১৫
বিভিন্ন
ক্ষেত্রে
আধার
কার্ড
বাধ্যতামূলক
করা
নিয়ে
কেন্দ্রীয়
সরকারের
সিদ্ধান্তকে
চ্যালেঞ্জ
জানিয়ে
সুপ্রিমকোর্টের
তিন
বিচারপতির
বেঞ্চে
মামলা
করা
হয়।
২০১৩
সালের
সেপ্টেম্বর
মাসে
সুপ্রিমকোর্ট
নির্দেশ
দেয়
আধার
বাধ্যতামূলক
করা
যেতে
পারে
না।
কেন্দ্রীয়
সিদ্ধান্তে
গোপনীয়তায়
হস্তক্ষেপ
করা
হচ্ছে
বলে
মামলা
করা
হয়।
২২
জুলাই,
২০১৫
এই
মামলার
শুনানিতে
কেন্দ্রীয়
সরকার
জানায়,
ভারতীয়
সংবিধানে
গোপনীয়তাকে
মৌলিক
অধিকার
বলা
হয়নি।
ফলে
এই
পিটিশন
খারিজ
করে
দেওয়ার
আর্জি
জানায়
কেন্দ্র।
৬
অগাস্ট,
২০১৫
এবিষয়ে
উচ্চতর
বেঞ্চের
কাছে
আইনি
পরামর্শের
জন্য
রায়দান
স্থগিত
রাখে
তিন
বিচারপতির
বেঞ্চ।
মূলত
সংবিধানে
গোপনীয়তারক্ষাকে
মৌলিক
অধিকার
হিসেব
দেখার
কোনও
ধারা
রয়েছে
কিনা
তা
খতিয়ে
দেখতে
উচ্চতর
বেঞ্চের
কাছে
জানতে
চাওয়া
হয়।
১১
অগাস্ট,
২০১৫
তিন
সদস্যের
বেঞ্চ
জানিয়ে
দেয়,
আধার
কার্ডকে
কোনও
সরকারি
সুযোগ
সুবিধে
পাওয়ার
শর্ত
হিসেবে
রাখা
যেতে
পারে
না।
আধার
প্রকল্প
ব্যক্তিগত
গোপনীয়তারক্ষায়
হস্তক্ষেপ
কিনা
তা
সুপ্রিমকোর্টের
উচ্চতর
৫
সদস্যের
বেঞ্চ
এবিষয়ে
স্পষ্ট
নির্দেশ
না
দেওয়া
পর্যন্ত
এই
নির্দেশই
কার্যকর
থাকবে
বলে
জানানো
হয়।
৭
অক্টোবর,
২০১৫
গোটা
বিষয়টি
একটি
সাংবিধানিক
বেঞ্চের
কাছে
পাঠানো
হয়।
সরকারি
সুযোগ
নিতে
কোনও
ব্যক্তি
নিজের
ইচ্ছেয়
গোপনীয়তা
ছাড়তে
পারে
কিনা
তা
জানতে
চাওয়া
হয়
সাংবিধানিক
বেঞ্চের
কাছে।
৮
অক্টোবর,
২০১৫
এবিষয়ে
অপর
একটি
সাংবিধানিক
বেঞ্চ
গঠন
করেন
তৎকালিন
প্রধান
বিচারপতি
এইচ
এ
দাত্তু।
পরবর্তী
শুনানি
১৪
অক্টোবর
ধার্য
করা
হয়।
১৫
অক্টোবর,
২০১৫
সুপ্রিমকোর্ট
জানিয়ে
দেয়,
১০০
দিনের
কাজ,
পেনশন,
পিএফ,
প্রধানমন্ত্রী
জনধন
যোজনার
ক্ষেত্রে
কেউ
চাইলে
স্বেচ্ছায়
আধার
নম্বর
জমা
দিতেই
পারেন।
২৫
এপ্রিল,
২০১৬
সংসদে
আধার
বিল
পাশ
হওয়ার
পরই
সেই
বিলের
বৈধতা
নিয়ে
সুপ্রিমকোর্টে
চ্যালেঞ্জ
জানান
কংগ্রেস
সাংসদ
জয়রাম
রমেশ
।
২৭
মার্চ,
২০১৭
সুপ্রিমকোর্টের
প্রধান
বিচারপতি
জে
এস
খেহর
জানিয়ে
দেন,
সরকারি
নয়
এমন
কাজ
যেমন
মোবাইল
সিমের
আবেদন,
ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্ট,
আয়কর
জমার
ক্ষেত্রে
আধার
কার্ড
বাধ্যতামূলক
করার
কেন্দ্রীয়
সিদ্ধান্তে
দোষ
নেই
কিছু।
১৯
মে,
২০১৭
৩০
জুনের
পর
থেকে
সমস্ত
সরকারি
সুযোগ
পেতে
আধার
বাধ্যতামূলক
করার
নির্দেশিকা
জারি
করে
কেন্দ্র।
সেই
নির্দেশিকাকে
চ্যালেঞ্জ
জানিয়ে
দায়ের
হওয়া
একটি
পিটিশন
গ্রহণ
করে
সুপ্রিমকোর্ট।
৯
জুন,
২০১৭
আয়কর
আইনের
ধারা
১৩৯
এএ-র
ওপর
স্থগিতাদেশ
জারি
বহাল
রাখে
সুপ্রিমকোর্ট।
এই
আইনেই
আয়কর
রিটার্নের
ক্ষেত্রে
প্যান
ও
আধার
বাধ্যতামূলক
করা
হয়েছিল।
১৮
জুলাই,
২০১৭
প্রধান
বিচারপতির
নেতৃত্বে
৫
সদস্যের
বেঞ্চ
জানিয়ে
দেয়,
আয়কর
আইন
নিয়ে
মামলার
নিষ্পত্তি
হওয়ার
আগে
গোপনীয়তারক্ষা
মৌলিক
অধিকার
কিনা
তা
স্পষ্ট
হওয়ার
প্রয়োজন।
এরজন্য়
তিনি
৯
সদস্যের
বেঞ্চ
গঠন
করেন।
১৯
জুলাই,
২০১৭
সুপ্রিমকোর্টের
বেঞ্চ
জানিয়ে
দেয়,
আজকের
দিনে
যখন
মানুষ
ডেটার
জগতে
বাস
করে,
সেখানে
গোপনীয়তা
বিশাল
কিছু
ব্য়াপার
নয়।
২
অগাস্ট,
২০১৭
ব্যক্তিগত
তথ্যকে
জনসমক্ষে
তুলে
আনার
বিরুদ্ধে
সরব
হয়
৯
সদস্যের
বেঞ্চ।
এই
মামলার
শুনানি
শেষে
রায়দান
স্থগিত
রাখা
হয়।
২৪
অগাস্ট,
২০১৭
ঐতিহাসিক
রায়ে
সুপ্রিমকোর্ট
জানিয়ে
দিল
গোপনীয়তারক্ষা
মৌলিক
অধিকারের
মধ্যেই
পড়ে।
[আরও পড়ুন:গোপনীয়তা রক্ষায় ঐতিহাসিক রায়, আধারের ভবিষ্যৎ কি 'আঁধার'-এ]