শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার, মামলার বিস্তার সম্পর্কে জেনে নিন
কেরলের শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে মামলার রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে চলা সাড়া জাগানো এই মামলার বিস্তার এক নজরে দেখে নিন।

১৯৯০
শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করার জন্য কেরল হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়

১৯৯১
সেই মামলার প্রেক্ষিতে ভগবান আয়াপ্পার মন্দিরে নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে কেরলের উচ্চ আদালত।

২০০৬
কেরল হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করেন দেশের কিছু আইনজীবী। ১০ থেকে ৫০ বছরের কিশোরী থেকে মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশাধিকারের দাবিতে মামলা করা হয়।

২০০৮
দুই বছর পর শবরীমালা মামলা সুপ্রিম কোর্টে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যায়।

২০১৬-র জানুয়ারি
শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের সংবিধানে এর বাখ্যা নেই বলে জানানো হয়।

২০১৬-র এপ্রিল
মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চাণ্ডী নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, শবরীমালা মন্দিরের পুণ্যার্থীদের ধর্মীয় বিশ্বাস সুরক্ষিত করতে তারা বদ্ধপরিকর।

২০১৬-র নভেম্বর
২০১৬-র ৭ নভেম্বর কেরল সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে তারা শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে।

২০১৭
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলা স্থানান্তরিত হয়।

২০১৮-র সেপ্টেম্বর
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ বৈধ বলে ঘোষণা করে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য সময় চায় কেরল সরকার। এরই মধ্যে শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার বন্ধে আন্দোলন শুরু হয়।

২০১৯-র ফেব্রুয়ারি
সুপ্রিম কোর্ট শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত মামলা পুনরায় সংরক্ষণ করে।
ফ্রান্স থেকে ভারতে রাফালে! একনজরে যুদ্ধ বিমানের 'আদালত যাত্রা'