অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের শুনানি, একনজরে টাইম লাইন
এদিন সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে ২৫ জুলাই থেকে অযোধ্যা নিয়ে ফের শুনানি শুরু হবে। তার আগে মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে ১৮ জুলাইয়েরমধ্যে অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে ২৫ জুলাই থেকে অযোধ্যা নিয়ে ফের শুনানি শুরু হবে। তার আগে মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি মধ্যস্থতাকারীরা ব্যর্থ হন, তাহলে ২৫ জুলাই থেকে প্রতিদিন শুনানি হবে।
একনজরে টাইম লাইনে অযোধ্যা সমস্যা
১৫২৮: মোঘল সম্রাট বাবর মসজিদ তৈরি করেছিলেন, যার নাম দেওয়া হয় বাবরি।
২৩ ডিসেম্বর, ১৯৪৯: মসজিদের মধ্যে ভগবান রামের মূর্তি স্থাপন করা হয়। আদালতে যায় উভয় পক্ষ। এলাকাটি বিতর্কিত বলে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
১৭ ডিসেম্বর, ১৯৫৯: নির্মোহী আখড়া বিতর্কিত এলাকার দখলদারি দাবি করে আদালতে আবেদন জানায়।
১৮ ডিসেম্বর, ১৯৬১: সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের তরফে বিতর্কিত এলাকার মালিক দাবি করে আদালতে আবেদন করে।
১৯৮৪: বিতর্কিত জায়গায় রাম মন্দির নির্মান করতে চেয়ে দেশব্যাপী প্রচার অভিযান শুরু করে বিশ্বহিন্দু পরিষদ।
১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬: ফৈজাবাদ জেলা আদালত মসজিদের দরজা খুলে দিতে আদেশ দেয় এবং হিন্দুদের সেখানে পুজো করার অনুমতি দেয়।
৯
নভেম্বর,
১৯৮৯:
বাবরি
মসজিদের
পাশের
জমিতে
রাম
মন্দিরের
ভিত্তিপ্রস্তর
স্থাপন
করে
বিশ্ব
হিন্দু
পরিষদ।
তাদের
এই
কাজে
অনুমতি
দিয়েছিল
তৎকালীন
রাজীব
গান্ধী
সরকার।
২৫
সেপ্টেম্বর,
১৯৯০:
বিজেপি
নেতা
লালকৃষ্ণ
আডবাণী
সোমনাথ
থেকে
অযোধ্যা
যাত্রা
শুরু
করেন।
নভেম্বরে
তাঁকে
বিহারের
সমস্তিপুরে
গ্রেফতার
করে
তৎকালীন
লালুপ্রসাদ
যাদব
সরকার।
৬
ডিসেম্বর,
১৯৯২:
করসেবকদের
হামলায়
ধ্বংস
হয়ে
যায়
বিতর্কিত
বাবরি
মসজিদ।
এপ্রিল, ২০০২: বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ শুনানি শুরু করে। সঙ্গে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দেয় এলাকায় খননকার্য চালানোর জন্য।
২০০৩:
এএসআই
মসজিদের
নিচে
মন্দিরের
হদিশ
পায়।
মুসলিম
সংস্থাগুলির
পক্ষ
থেকে
এই
পর্যবেক্ষণের
বিরোধিতা
করা
হয়।
৩০
সেপ্টেম্বর,
২০১০:
হাইকোর্ট
জানায়
,
বিতর্কিত
জমি
তিন
ভাগে
ভাগ
করে
দিতে
হবে।
একভাগ
পাবে
রামলালা,একভাগ
সুন্নি
ওয়াকফ
বোর্ড
এবং
অপর
ভাগ
নির্মোহী
আখড়া।
এই
সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে
সবপক্ষই
সুপ্রিম
কোর্টে
আবেদন
করে
ডিসেম্বরে।
মে,
২০১১:
হাইকোর্টের
সিদ্ধান্তের
ওপর
স্থগিতাদেশ
দেয়
সুপ্রিম
কোর্ট।
মার্চ,
২০১৭:
সুপ্রিম
কোর্ট
জানিয়ে
দেয়
আডবাণী
এবং
অন্য
নেতাদের
বিরুদ্ধে
অভিযোগ
বাতিল
করা
যাবে
না।
২১
মার্চ,
২০১৭:
সুপ্রিম
কোর্ট
জানায়
বিষয়টি
স্পর্শ
কাতর।
তাই
যদি
আদালতের
বাইরে
এর
মীমাংসার
কোনও
ব্যবস্থা
করা
যায়
কিনা,
তা
নিয়ে
সব
পক্ষের
মধ্যে
আলোচনার
কথা
বলে।
৩০
মার্চ,
২০১৭:
আডবাণী,
মুরলি
মনোহর
যোশী,
উমা
ভারতী
এবং
বিনয়
কাটিহারের
বিরুদ্ধে
মসজিদ
ভাঙার
ঘটনায়
অপরাধমূলক
ষড়যন্ত্রের
কথা
বলে।
১১
অগাস্ট,
২০১৭:
১৩
টি
আবেদন
শুনতে
৫
ডিসেম্বর,
২০১৭-র
দিন
ধার্য
করে।
যা
কিনা
বাবরি
মসজিদ
ধ্বংসের
২৫
বছর
পূর্তির
আগের
দিন।
৫ ডিসেম্বর, ২০১৭: সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ২০১০-এর এলাহবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে আবেদনের শুনানি তারা করবে।
সেপ্টেম্বর,
২০১৮:
১৯৯৪
সালে
বিচারপতি
ফারুকির
আদেশ
রিভিউ
করার
আবেদন
সর্বোচ্চ
আদালত
খারিজ
করে
দেয়।
অক্টোবর,
২০১৮:
সর্বোচ্চ
আদালত
জানায়,
বিতর্কিত
জমি
নিয়ে
শুনানি
জানুয়ারি
২০১৯-এ
শুরু
করা
হবে।
একইসঙ্গে
বিষয়টির
তাড়াতাড়ি
শুনানির
জন্য
বিজেপির
দাবিও
খারিজ
করে
দেয়
আদালত।
৪
জানুয়ারি,
২০১৯:
শুনানি
১০
জানুয়ারি
পর্যন্ত
পিছিয়ে
দেয়
সর্বোচ্চ
আদালত।
৮
জানুয়ারি,
২০১৯:
বিতর্কিত
জমি
নিয়ে
শুনানির
জন্য
সুপ্রিম
কোর্ট
পাঁচ
সদস্যের
সাংবিধানিক
বেঞ্চ
তৈরি
করে।
১০
জানুয়ারি,
২০১৯:
পাঁচ
সদস্যের
সাংবিধানিক
বেঞ্চ
শুনানি
২৯
জানুয়ারি
পর্যন্ত
পিছিয়ে
দেয়।
মার্চ, ২০১৯: মার্চে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা নিয়ে তিন সদস্যের মধ্যস্থকারী কমিটি গঠন করে। যার প্রধান করা হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ফকির মহম্মদ, ইব্রাহিম কালিফুল্লাকে। কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এবং মাদ্রাজ হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু।
১০ মে, ২০১৯: সর্বোচ্চ আদালত মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেয়, এই সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে।
১১ জুলাই, ২০১৯: সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে ১৮ জুলাই-এর মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্ট পেশ করতে হবে। শুনানি শুরু করা হবে ২৫ জুলাই থেকে।