(ছবি) মুম্বই বিস্ফোরণ : ২০০৬ এর ১১ জুলাই ঠিক কী হয়েছিল?
মুম্বই, ১১ সেপ্টেম্বর : দীর্ঘ ৯ বছরের প্রতীক্ষার পরে ২০০৬ সালে মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আগামী সোমবার দোষীদের সাজা ঘোষণা হবে। [২০০৬ মুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণ : ১২ জন দোষী সাব্যস্ত]
ঘটনার পরে মোট ২৮ জন অভিযুক্তের তালিকা তৈরি করে তদন্তে নেমেছিল মুম্বই পুলিশ। তার মধ্যে ১৩ জনকে ধরা সম্ভব হয়। এদিন একজনকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিয়ে বাকিদের দোষী বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। [১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা]
২০০৬ সালের ১১ জুলাই মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরায় পরপর সাতটি আলাদা জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ঘটনায় মারা যান মোট ১৮৯ জন, আহত হন প্রায় ৮০০ মানুষ। পরে জানা যায়, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার বদলা নিতে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নামের জঙ্গি সংগঠন। [মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনাপঞ্জী]
নিচের স্লাইডে ক্লিক করে দেখে নিন, ২০০৬ সালের মুম্বই লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণের টাইমলাইন। [চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট অপরাধী ইয়াকুব মেমনের রোমহর্ষক কাহিনি]
১১ জুলাই, ২০০৬
মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনের সাতটি আলাদা আলাদা জায়গায় আরডিএক্স সমৃদ্ধ বোমা বিস্ফোরণ করা হয়। চার্চগেট থেকে ভায়ান্ডর স্টেশন মধ্যবর্তী জায়গায় ১১ মিনিটের মধ্যে লোকাল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরায় বিস্ফোরণ হয়।
২১ জুলাই, ২০০৬
ঘটনায় মোট ১৮৯ জন মারা যান, আহত হন প্রায় ৮০০ মানুষ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
৩০ নভেম্বর, ২০০৬
তদন্ত শুরু হলে মহারাষ্ট্র পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা এটিএস চার্জশিট ফাইল করে। ঘটনায় মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও ১৩ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। বাকিরা পলাতক।
২১ জুন ২০০৭
মহারাষ্ট্র সরকারের তদন্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় অভিযুক্তরা। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮
মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখা পাঁচ জন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১০
ট্রেনে হামলায় অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী শাহিদ আজমি মধ্য মুম্বইয়ে নিজের অফিসে খুন হন।
২৩ এপ্রিল, ২০১০
ফের এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সাক্ষীগ্রহণ শুরু করে আদালত।
৩০ অগাস্ট, ২০১৩
ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসিন ভাটকল ভারত-নেপাল সীমান্তে ধরা পড়ে। ভাটকল স্বীকার করে, ২০০৬ এর ট্রেন বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিরাই। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার বদলা হিসাবেই এমন করা হয়েছিল বলে সে জানায়।
২০ অগাস্ট, ২০১৪
সাক্ষীগ্রহণ ও মামলা শোনার পরে সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখে আদালত।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
এদিন অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনকেই দোষা সাব্যস্ত করেছে আদালত। একজন প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছে। দোষীদের সাজা ঘোষণা হবে আগামী সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর।