জেলে বসেই গ্যাংস্টার গোগীকে খুন করার ছক কষেছিল টিলু তাজপুরিয়া
জেলে বসেই গ্যাংস্টার গোগীকে খুন করার ছক কষেছিল টিলু তাজপুরিয়া
এ যেন বলিউডি সিনেমার প্লট! জেলে বসেই এক গ্যাংস্টার আরএক গ্যাংস্টারকে খুন করার ছক কষছে৷ বাইরে থেকে শ্যুটার ভাড়া করে এনে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্মূল করাচ্ছে৷ সম্প্রতি এরকমই তথ্য উঠে এসেছে দিল্লি পুলিশের তদন্তে!
রোহিণী আদালতের ভিতরে গত শুক্রবার গুলি চালানোর ঘটনায় দিল্লি পুলিশ দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এই গুলি চালানোয় গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগিসহ তিনজন নিহত হয়েছে। দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুই অভিযুক্তের নাম উমং যাদব এবং বিনয়। উমং যাদব জিতেন্দ্র গোগিকে খুনের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে বর্তমানে দিল্লির মান্দোলি কারাগারে বন্দী। গ্যাংস্টার টিলু তাজপুরিয়ার তাঁকে এই খুনের নির্দেশ দিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এলএলবি ড্রপআউট, উমং যাদব উকিলের ইউনিফর্ম পরেছিল এবং দুই শুটারকে রোহিণী আদালতে পর্যন্ত নিয়ে এসেছিল৷
এই শ্যুটআউট ও খুনে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় শ্যুটারদের জামাকাপড় এবং মোবাইল ফোন নষ্ট করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাতে সাহায্য করেছিল। যদিও পরে খুনে অভিযুক্তদের জামাকাপড় এবং মোবাইল পুলিশ উদ্ধার করেছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগিকে নির্মূল করার জন্য জেলে বসেই গ্যাংস্টার টিল্লু তাজপুরিয়া এই পরিকল্পনা করে। জেল থেকে ফোন করে অভিযুক্তদের নির্দেশও দিচ্ছিলেন টিলু। দু'জন শ্যুটারই দিল্লির হায়দারপুর এলাকায় রোহিণী আদালত থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে একটি ফ্ল্যাটে থাকছিল। পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে ফ্ল্যাটটি উমং যাদবের ।
গ্রেফতারের পর দিল্লি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, উমং যাদব জানিয়েছে যে সে গত দু'বছর ধরে টিল্লুর জন্য কাজ করেছিল। পাশাপাশি উমং আরও জানায়, সে টিল্লুর কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছিল এবং তাকে জানানো হয়েছিল যে দুটি ছেলে তার বাড়িতে আসবে। তাকে টিলু নির্দেশ দিয়েছিল গোগি সহ অন্য দু'জনকে সরিয়ে দিতে হবে। উমাং পুলিশকে জানিয়েছে সে তিন বছর আইন অধ্যয়ন করেছে এবং তাই তার কাছে উকিলের ইউনিফর্ম ছিল। ২৪ সেপ্টেম্বর, তারা তিনজন রোহিণী আদালতের কাছে একটি মলে পৌঁছয় এবং উকিলের ইউনিফর্ম পরে। গোগিকে হত্যার পর তারা পালানোর পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে উমং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সূত্রের খবর রোহিনি আদলত কান্ডে জড়িত দুই আসামিকেই দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার কাছে হস্তান্তর করা হবে, যারা এই মামলার তদন্ত করছে। সূত্রের খবর পুলিশের গুলিতে নিহত দুই হামলাকারী খুনের দু'দিন আগেও খোঁজ খবর নিতে রোহিণী আদালত প্রাঙ্গণে গিয়েছিল। এই দুই শুটারকে টিল্লু এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সুনীল রাঠি এবং নবীন বালি, গ্যাংস্টার গোগিকে হত্যার জন্যই ভাড়া করেছিল।