
Rekha Murder Case: শ্রদ্ধার কায়দাতেই লিভ-ইন পার্টনারকে নৃশংস খুন! আফতাবের পথে দেহ কাটার চেষ্টা
Tilak Nagar Murder Case: এখন টাটকা শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের (Shraddha Murder Case) মতো নৃশংস খুনের ঘটনা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি। এবার ঘটনাস্থল দিল্লির (Delhi) তিলক নগর (Tilak Nagar)। ছুরি নিয়ে লিভ-ইন পার্টনারকে নৃশংস খুন প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তকে পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শ্রদ্ধা হত্যা-কাণ্ড নিয়ে যখন উত্তাল দেশ সেই সময়ে আরও একটি এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর চাঞ্চল্য। যদিও ঘটনায় কড়া পুলিশ আধিকারিকরা।

ছুরি চালিয়ে নৃশংস খুন
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত গলায় ছুরি চালিয়ে এই খুন করছে। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধা মৃত্যুকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আফতাবকে দেখেই নাকি সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বলে খবর। এমনকি দেহ টুকরো করার পরিকল্পনা করলেও তা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সে এলাকা ছেড়ে পালায় বলে জানতে পারে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মৃত ওই মহিলার নাম রেখা (Rekha) বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ওই যুবকেত নাম মানপ্রিত সিং (Manpreet Singh) বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

ঘুমের ওষুধ দেন অভিযুক্ত মানপ্রিত।
জানা যাচ্ছে, রেখার নাবালিকা মেয়েকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ দেন অভিযুক্ত মানপ্রিত। আর এরপরেই সেই সুযোগে রেখাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে দিল্লির তিলক নগর এলাকার বাড়ি থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সঙ্গম অ্যাপার্টমেন্টে থাকত অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অপহরণ ও অস্ত্র আইনসহ একাধিক ধারাতে মামলা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য ভেদ
তবে এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য ভেদ করেছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনার পরেই পঞ্জাবে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে গিয়েই পুলিশ মানপ্রিত সিং (Manpreet Singh)-কে গ্রেফতার করেন বলে জানা যাচ্ছে। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে এবং বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেক ট্র্যাক করে মানপ্রিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, রেখার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে রেখার মুখ-ঘাড়ে ছুরির আঘাতের একাধিক আঘাত রয়েছে বলেও খবর। এমনকি একটু আঙুল কাঁটা অবস্থাতেও পুলিশ পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, দেহ কাঁটার কোনও পরিকম্পনা করলেও তা সম্ভব হয়নি।