পাক বিদেশ মন্ত্রকের অভ্যন্তরে ঢুঁকে টিকটক ভিডিও বানানোয় সমালোচনার মুখে ‘টিকটক তারকা'
পাক বিদেশ মন্ত্রকের অভ্যন্তরে ঢুঁকে টিকটক ভিডিও বানানোয় সমালোচনার মুখে ‘টিকটক তারকা'
পাক বিদেশ মন্ত্রকের অভ্যন্তরে ঢুকে ইতিউতি ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেল পাকিস্তানের টিকটক স্টার হারিম শাহকে। উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে থাকা সরকারি দফতরে যত্রতত্র আম আদমির প্রবেশে ইতিমধ্যেই দেশের জাতীয় প্রোটোকল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একাধিক মহল থেকে।
কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের টিকটক স্টার হারিম শাহের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রকের প্রধান কার্যালয়ের বিনা বাধায় যত্রতত্র অনায়াসেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই তরণী। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মোড়া কনফারেন্স রুমেও তার অবাধ গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। এমনকি আবহে হিন্দি ও উর্দু গানের রেশ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে। এক সময় পর পর তাকে পাক বিদেশ মন্ত্রীর চেয়ারেও বসতে দেখা যায়।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ওই 'বিখ্যাত’ টিকটক তারকা হারিম শাহ। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হতে দেখা যায় নেটিজেনদেরও একাংশকে। কার অনুমতিতে উচ্চ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা ওই সরকারি দফতরে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয় সেই বিষয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, 'এই ভিডিওটি দেশের অভ্যন্তরীণ প্রোটোকলের জন্য চূড়ান্তভাবে অবমাননাকর।’
এই ঘটনার সঙ্গে কোনও প্রভাবশালী যুক্ত আছেন কিনা এই বিষয়ে হারিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুই খোলসা করেননি। পাক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান এর আগে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নওয়াজ শরিফের বাসভবনেও গিয়েছেন তিনি। এমনকি নওয়াজ কন্যা মরিয়মে সঙ্গে তার ছবিও আছে বলেও তিনি জানান। নওয়াজের পাশাপাশি শাহ মামুদ কুরেশিকেও তিনি দেবতুল্য বলে মনে করেন। তার সঙ্গে দেখা করতেই তিনি মূলত পাক-বিদেশ দফতরে গিয়েছিলেন বলে ওই সাক্ষাৎকারে জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি নিজেকে বর্তমানে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই ইনসাফ বা পিটিআইয়ের সমর্থক বলেও দাবি করেন।