আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে জোরালো হচ্ছে তিহার যোগ, জেলে উদ্ধার মোবাইল সহ সিম কার্ড
আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে জোরালো হচ্ছে তিহার যোগ, জেলে উদ্ধার মোবাইল সহ সিম কার্ড
মুকেশ আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে তিহার জেলের যোগ উঠে এল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিহার জেলের আধিকারিকরা সাব–জেল নম্বর ৮–এ ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালান এবং সেখান থেকে একটি মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার হয়। ফোনে টেলিগ্রামে 'জয়সুলহিন্দ’ নামে একটি অ্যাকাউন্টও তৈরি করা হয়েছে।
তেহসিন আখতার সন্দেহের তালিকায়
এই অ্যাকাউন্টের দাবি, এরাই নাকি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভর্তি এসইউভি রেখেছিল এবং ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে টাকা দাবি করার পরিকল্পনা ছিল। তিহার জেল সূত্রের খবর, জেল নম্বর ৮-এ ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন গোষ্ঠীর জঙ্গি তেহসিন আখতার ও আল কায়দা ও আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত কিছু বন্দী রয়েছে। মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়েছে আখতারের ব্যারাক থেকে এবং এই মামলায় এখন তাকেই কড়াভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
২টি নম্বরের খোঁজ
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল বৃহস্পতিবার তিহার জেল পরিদর্শনে আসে এবং সিম কার্ডের নম্বরটি ট্র্যাক করার চেষ্টা করে। মুম্বই পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা নম্বরটি তিহার জেলের আশপাশ থেকে ট্র্যাক লোকেশন পায়। এরপরই তাঁরা তিহার জেলের সাহায্য চান এ বিষয়ে। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ১১ জন বন্দিকে প্রশ্ন করা হয় এবং তাদের জিনিসপত্র ও সেলগুলিতেও তল্লাশি চালানো হয়। মুম্বই পুলিশের এক সূত্রের খবর, তাদের তদন্তে জানা গিয়েছে যে মোবাইল নম্বরটি কোনও জয়দীপ লোধিয়ার নামে নথিভুক্ত, যিনি পূর্ব দিল্লির রঘুবর পুরার বাসিন্দা। গত বছরের জুলাইয়ে এই নির্দিষ্ট নম্বরটি চালু হয় এবং পরে তা তিহারে পাচার করা হয়। এই নম্বরের পাশাপাশি পুলিশের হাতে আরও একটি মোবাইল নম্বর এসেছে, যটি গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ আছে। এই নম্বরই মূল নম্বরটি সক্রিয় করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
কাজে লাগানো হয়েছে ইন্টারনেটের প্রযুক্তিকে
ব্যবহারকারী প্রাথমিক নম্বরটি একটি অ্যাপে ব্যবহার করে যা ভার্চুয়াল নম্বর উৎপন্ন করে, যে নম্বর দিয়ে টেলিগ্রামের অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়াও ব্যবহারকারী টিওআর ব্রাউজার ব্যবহার করেছে যা ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেসকে গোপন করে রাখতে সাহায্য করে। মুম্বই পুলিশ কর্তৃক নিয়োজিত সাইবার বিশেষজ্ঞের দল ট্রোজান ব্যবহার করে টেলিগ্রাম চ্যানেলটির বিষয়ে জানতে পারে এবং এটি তৈরি করা হয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে। এই টেলিগ্রামের মেসেজে দাবি করা হয়েছে যে আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক-ভর্তি এসইউভি তারাই রেখেছিল। যদিও তা ২৭ ফেব্রুয়ারির মেসেজ।
জৈশ–উল–হিন্দ গোষ্ঠী
ওই টেলিগ্রাম মেসেজে ক্রিপটোকারেন্সি (মনেরো)-তে টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয় এবং সেখানে একটি লিঙ্কের কথাও উল্লেখ রয়েছে। যদিও জৈশ-উল-হিন্দ সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে জানিয়েছে যে এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। যদিও গোয়েন্দারা জানান যে এই গোষ্ঠীর কোনও অস্তিত্ব নেই। তাদের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এটি একটি অনলাইন গোষ্ঠী যা কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর পক্ষে বা অন্য কোনও দেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী গুপ্তচর এজেন্সি দ্বারা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য তৈরি হয়েছে। এই নামটি প্রথমবার শোনা গিয়েছিল যখন ২৯ জানুয়ারি এই টেলিগ্রামের একটি চ্যানেল দিল্লির ইজরায়েল দূতাবাসের বাইরে স্বল্প-তীব্র বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছিল।
আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে টুইস্ট, বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ির মালিক হিরেন নন, বরং অন্য কেউ