এগিয়ে আসছে সময়, নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের 'শেষ ইচ্ছা' জানতে চাইল তিহার কর্তৃপক্ষ
বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে এখনও স্থির রয়েছে যে নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। সেই মতোই সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির থেকে তাদের শেষ ইচ্ছার কথা জিজ্ঞাসা করা হয়। পাশাপাশি তাদের কোনও সম্পত্তি থাকলে তা কাদের নামে তারা দান করে যেতে চায় সেটি জিজ্ঞাসা করা হয়।

পবন কুমারের খারিজ করে সুপ্রিমকোর্ট
এর আগে ২০ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে চার সাজাপ্রাপ্তের অন্যতম পবন কুমারের বিশেষ আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি আর ভানুমতী নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। দোষী পবন কুমারের হয়ে তার আইনজীবী এপি সিং দাবি করেন ২০১২ সালে দিল্লিতে প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণের সময়ে নাবালক ছিল পবন। সেই ভিত্তিতেই আজকের শুনানি হয়।

মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করেন রাষ্ট্রপতি
নির্ভয়া ধর্ষণের অপর এক দোষী মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন আগেই খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ এদিকে দিল্লি আদালত ইতিমধ্যে ফাঁসির তারিখ জানিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন আবেদনের কারণে ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকর সম্ভব হবে না বলে ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট ১৪ জানুয়ারি বিনয় ও মুকেশের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কিউরেটিভ আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়।

দিল্লির বাসের মধ্যে নারকীয় গণধর্ষণ
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাজধানী দিল্লির সড়কে একটি বাসের মধ্যে নারকীয় গণধর্ষণ চালানো হয় এক তরুণীর উপর। বাসে বছর তেইশের নির্ভয়াকে গণধর্ষণ, ভয়াবহ মারধর এবং যৌন অত্যাচার করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল ছ'জন। এরপর বহুদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার পরে অবশেষে সেই বছরই ২৮শে ডিসেম্বর মৃত্যু হয় নির্ভয়ার। আর গোটা দেশ তাঁকে 'নির্ভয়া ' নামের পরিচিতি দেয়। সেই নির্ভয়াকাণ্ডের ৭ বছর কেটে গিয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছয়জন কে যৌন নিপীড়ন ও হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন নাবালক, এবং অন্য একজন তিহার জেলেই আত্মহত্যা করেন।

তৈরি হচ্ছে তিহার
জানা গিয়েছে, তিহারের জেল নম্বর ৩ এ সম্পন্ন করা হবে ৪ দোষীর ফাঁসির সাজা। সেখানেই ৪ জন দোষীকে একসঙ্গে ফাঁসিকে সাজা দেওয়া হবে , বলে জানিয়েছে তিহারের সূত্র। জানা গিয়েছে, জেলে ফাঁসির ফ্রেম ও দড়ির সঙ্গে আনা হয়েছে জেসিবি। যার দ্বারা মনে করা হচ্ছে ফাঁসির প্রক্রিয়া খুব শিগগিরিই সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে, তিহারের সুড়ঙ্গ নিয়েও কাজ চলছে। প্রসঙ্গত, এই সুড়ঙ্গ দিয়েই মৃতদেহ ফাঁসির পর তোলা হয়। তিহার কর্তৃপক্ষ ফাঁসুড়ে চেয়ে মেরঠে চিঠি পাঠিয়েছিল। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই উত্তরপ্রদেশের জেল কতৃপক্ষ বেছে নেয় পবন জল্লাদকে।