তিহার জেলে ফাঁসুড়ে সংকট, নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি দেবে কে?
নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে যেকোনও দিন ফাঁসি হতে পারে নির্ভয়ার ধর্ষকদের। কিন্তু ফাঁসি দেবে কে? মহা সংকটে পড়েছে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ।
নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে যেকোনও দিন ফাঁসি হতে পারে নির্ভয়ার ধর্ষকদের। কিন্তু ফাঁসি দেবে কে? মহা সংকটে পড়েছে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। জেলে কোনও ফাঁসুড়ে নেই। এখন হন্যে হয়ে ফাঁসুড়ে খুঁজজে জেল কর্তৃপক্ষ।
ফাঁসুড়ে সংকট
ফাঁসুড়ে সংকটে নাজেহাল তিহার জেল। যেকোনও দিন নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা কার্যকর করার নির্দেশ আসতে পারে। তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু ফাঁসুড়ে নেই জেলে। কী করে কার্যকর হবে ফাঁসির সাজা এই নিয়ে মাথায় হাত জেল কর্তৃপক্ষের। শুধু তিহার নয় ফাঁসুড়ে সংকট তৈরি হয়েছে দেশের অধিকাংশ জেলেই। শেষ বার ফাঁসি হয়েছিল আফজল গুরুর। সেসময় জেলেরই এক কর্মী ফাঁসি দিতে সম্মত হয়েছিলেন সেকারণেই রাতারাতি কার্যকর করা হয় ফাঁসি।
ফাঁসুড়ের খোঁজে তিহার জেল
পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন থেকেই ফাঁসুড়ের খোঁজ শুরু করে গিয়েছে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। দেশের অন্যান্য জেলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তাঁরা। সেখানে ফাঁসুড়ে আছে কিনা জানতে চাইছেন। সূত্রের খবর, ফাঁসুড়ের খোঁজে উত্তর প্রদেশের গ্রােমও পৌঁছে গিয়েছেন তিহার জেলের কর্মী। শেষবার যে ফাঁসুড়ে জেলে ছিল তিনি উত্তর প্রদেশের ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে গিয়ে ফাঁসুড়ের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে জেলকর্মীরা যদি কেউ রাজি হয় ফাঁসি দিতে। সাধারণ পূর্ণ কার্যকালের মেয়াদের ফাঁসুড়ে রাখা হয় না। কারণ ফাঁসির সাজা খুব কমই হয়ে থাকে। সেকারণে চুক্তির ভিত্তিতেই লোক নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট জারি হলেই ফাঁসি
এখন শুধু ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট জারি হওয়ার অপেক্ষা। তাহলেই কার্যকর করতে হবে ফাঁসির সাজা। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আর্জি খারিজ হলেই জারি করা হয় ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট। নির্ভয়াকাণ্ডো দোষী সাব্যস্ত পাঁচ দোষীর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে তিহার জেলে। বাকি চার জনের মধ্যে একজনই কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আর্জি জানিয়েছে।
চাকরিতে অসংখ্য ছুটি আর তাক লাগানো বেতন! এই সংস্থায় নজর কাড়ছে কোন গেমপ্ল্যান সঙ্গে নিয়ে