শাহের কাশ্মীর সফর আর অমরনাথ যাত্রার আগে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ! প্রত্যেক যাত্রীর জন্য আলাদা বারকোড
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথমবার কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ। তার আগে কাশ্মীরের নিরাপত্তা পর্যালোচনা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথমবার কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ। তার আগে কাশ্মীরের নিরাপত্তা পর্যালোচনা। এছাড়াও অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা নিয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এবছরে অমরনাথ যাত্রার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এবার সেনা ও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ছাড়াও সব থেকে বেশি প্রায় ৪২ হাজারের মতো আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। ১ জুলাই ৪৬ দিনের অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে।
গোয়েন্দা
সংস্থাগুলির
তরফে
দুটি
প্রধান
বিষয়ে
নজর
দেওয়ার
কথা
বলা
হয়েছে।
এর
মধ্যে
রয়েছে,
গাড়িতে
বহন
করে
আইইডি
বিস্ফোরণ
এবং
জওহর
টানেলের
আশপাশে
হামলা।
পুলওয়ামায় হামলা
প্রথম ভয় গাড়ি বহন করে আইইডি বিস্ফোরণ। এবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ে এই ধরনের বিস্ফোরণে ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। ১৭ জুন দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার অপর একটি জায়গায় এই ধরনের বিস্ফোরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর গাড়ির খুব কাছেই একটি গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। এই ঘটনায় আটজন সেনা জওয়ান এবং দুজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছিলেন।
এছাড়াও নির্দিষ্ট খবরের ওপর ভিত্তি করে জওহন টানেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজরে রয়েছে গ্রেনেড হামলা, পুণ্যার্থী অপহরণ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ছদ্মবেশে জঙ্গিদের হামলার বিষয়টিও।
নজরদারির ব্যবস্থা
জঙ্গি হামলা মোকাবিলায় নির্দিষ্ট বাহিনী ছাড়াও, ছটি কুইক অ্যাকশন টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। এই টিমগুলির হাতে থাকবে অত্যাধুনিক অস্ত্র। এই টিমগুলি গত বছরের জানুয়ারি থেকে ইতিমধ্যেই একাধিক সফল জঙ্গি মোকাবিলায় অংশ নিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তরফে হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের নজরদারির ওপর জোর দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, রাতে নজরদারির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। রাখা হচ্ছে মোবাইল চেকপোস্ট, কিউআরটির ব্যবস্থা। অমরনাথ যাত্রীদের বাসে আরএফআইডি ট্যাগও থাকতে চলেছে। এছাড়াও একএক যাত্রীর জন্য আলাদা আলাদা বারকোডও থাকতে চলেছে। যাতে প্রত্যেক যাত্রীকে সহজেই চিহ্নিত করা কিংবা তাঁদের যাতায়াতের ওপর নজরদারি করা যায়।
এবার
৪২
হাজার
নিরাপত্তা
বাহিনীর
জওয়ানকে
মোতায়েন
করা
হচ্ছে।
যা
এখনও
পর্যন্ত
সর্বোচ্চ।
২০১৮-তে
মোতায়েন
ছিল
৩২
হাজার,
২০১৭-তে
৩০
হাজার,
২০১৬-তে
১৮
হাজার
এবং
২০১৫তে
১৫
হাজার
বাহিনী
মোতায়েন
করা
হয়েছিল।
আইটিবিপি,
এসএসবি,
সিআইএসএপ-এর
বাড়তি
বাহিনীকে
যাত্রীদের
সুরক্ষার
জন্য
মোতায়েন
করা
হচ্ছে।
বারবার অমরনাথ যাত্রীদের ওপর হামলা
এর
আগে
বারবার
অমরনাথ
যাত্রীদের
নিশানা
করেছে
জঙ্গিরা।
২০১৭
সালে
জঙ্গিরা
অমরনাথ
থেকে
ফেরত
আসা
পুণ্যার্থীদের
বাসে
হামলা
চালিয়েছিল।
তাতে
১২
জনের
মৃত্যু
হয়।
২০১৮-তে
বাসে
সন্দেহজনক
বিস্ফোরণ
ঘটে।
যা
সম্ভবত
জঙ্গিদের
গ্রেনেড
হামলার
ফল
বলেই
মনে
করা
হয়।
২০১৭ সালের আগে ২০১২ সালে জঙ্গিরা পুণ্যার্থীদের বাসে গ্রেনেড ছুড়েছিল। তিন জনের মৃত্যু হয়। ছয় জন আহত হয়েছিলেন। ২০০৭-এ স্থানীয় এক গুরুদ্বয়ারায় জঙ্গিদের গ্রেনেড হানায় ২৩ জন আহত হয়েছিলেন। ২০০২ সালে নুনওয়ান বেস ক্যাম্পে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
(ছবি সৌজন্য: পিটিআই)