জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে নয়া শুনানি, অশান্তির আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তা কোর্ট চত্বরে
জ্ঞানব্যাপি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক জারি রয়েছে। এর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একইরকম দাবি উঠেছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দাবি করা হয়েছে যে মসজিদের তলায় নাকি রয়েছে একটি করে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি। সেগুলিকে ভেঙেই তৈরি হয়েছে সেই সব মসজিদ। তালিকায় রয়েছে কর্ণাটক থেকে করে মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, পাঞ্জাব এমন বিভিন্ন রাজ্য। আজ সোমবার সপ্তাহের শুরুতেই ফের হবে জ্ঞানব্যাপি মসজিদের শুনানি। কারণ সেখানে কী পাওয়া গেল না গেল তা যারা নিরিক্ষন করেছিলেন তা পেশ করার জন্য সময় চেয়েছিলেন।
আজ শুনানিতে তা পেশ করা হয় কি না তার দিকে নজর থাকবে। তবে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বেনারস কোর্ট চত্ত্বরে ব্যাপক ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ২০ মে, সুপ্রিম কোর্টের সিভিল জজ আদালত থেকে এই বিষয় সংক্রান্ত সমস্ত ফাইল স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। বলা হয় এই মামলা হবে বেনারস আদালতেই। ঘটনা হল ওই মামলাটি করেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি ছিল যে মসজিদের কুয়োতে কোনও শিবলিঙ্গ নেই এবং ১৯৯১ আইন অনুযায়ী যেন আদালত উপসানা স্থল পরিবর্তন না করার আদেশকে এই জ্ঞানব্যাপি মসজিদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে।
কিন্তু সে সব কিছু হয়নি। যে বেনারস আদালতে বলা হয়েছিল যে মসজিদের কুয়োতে শিবলিঙ্গ রয়েছে সেখানেই সুপ্রিম কোর্ট ফিরিয়ে দিয়েছে মামলা। তাই সম্ভাবনা থাকছে রায় ক্রমে হিন্দু দাবিদারদের দিকে যাওয়ার। তাই অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে কোর্ট চত্বরেই। তাই সেখানে প্রচুর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
জেলা সরকারের কৌঁসুলি মহেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে বলেছেন, সোমবার জেলা জজ আদালত কোন বিষয়গুলির উপর শুনানি শুরু হবে তা স্পষ্ট করবে৷ এদিকে সোমবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মামলার শুনানি নিয়ে কোনো পক্ষ থেকে যাতে কোনো ঝামেলা না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন ,"আমরা পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন করেছি এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছে,"।
১৮ এপ্রিল, ২০২১ দিল্লির রাখি সিং, লক্ষ্মী দেবী, সীতা সাহু, মঞ্জু ব্যাস এবং রেখা পাঠক এঁরা ওই মসজিদ প্রাঙ্গণে দেবী শ্রিংগার গৌরীর প্রতিদিনের পূজা করার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন। ৮ এপ্রিল ২০২২, আদালত অজয় কুমার মিশ্রকে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের সার্ভের জন্য অ্যাডভোকেট কমিশনার নিযুক্ত করেছিল। আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি, সার্ভে এবং অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিল, কিন্তু আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। তারপর থেকে ঘটনা এই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।