৯ জনকে শিকার করেছে বাঘ, নরখাদককে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা
৯ জনকে শিকার করেছে বাঘ, নরখাদককে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা
একই গ্রামে পর পর ৯ জনকে শিকার করেছিল বাঘটি। ফাঁদ পেতে ধরে শেষে সেই বাঘটিকেই পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা। আগেই অবশ্য বাঘটিকে হত্যার অর্ডার জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এভাবে বিরল প্রজাতির কোনও প্রাণীতে হত্যা করা আইনত অপরাধের সামিল।
বিহারের চম্পারণ জেলায় ঘটেছে এই ঘটনা। নর খাদক হয়ে উঠেছিল বাঘটি। পশ্চিম চম্পারণ জেলার বাঘা গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল বাঘটি। গত ৩ দিেন ৪ জনকে শিকার করেছিল বাঘটি। এমনই জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারীকরা। চম্পারণের বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভ সংলগ্ন গ্রামে গত কয়েকদিন ধরেই হানা দিচ্ছিল বাঘটি। হঠাৎ করেই বাঘার বালুয়া গ্রামে এক মহিলা ও তার সাত বছরের শিশু পুত্রকে হত্যা করে বাঘটি।
তারপরেই বাঘের খোঁজে গ্রামবাসীরা তল্লাশি শুরু করেছিল। জেলা বনদফতরের আধিকারীকরাও তল্লাশি শুরু করে বাঘের খোঁজে। সেই ঘটনার পর আখের খেতে তল্লাশি শুরু করে গ্রামবাসীরা। তারপরেই ফের বাঘ হানা দেয় গ্রামে এবং পর পর ৯ জনকে হত্যা করে। শেষে বাধ্য হয়েই বাঘটির হত্যার হুলিয়া জরি করা হয়েছিল। তারপরেও বাঘটির সন্ধান পায়নি বনদফতরের কর্মীরা।
শেষে ফাঁদ পাতে গ্রামের বাসিন্দারা। শেষে ধরা দেয় বাঘটা। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা বাঘটিকে পিিটয়ে হত্যা করে। যদিও গ্রামবাসীরা বাঘটিতে ধরে বনদফতরের হাতে তুলে দেয়নি। এটাই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। বনদফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বনদফতরের কর্মীরা কীভােব বাঘটির নামে হত্যার হুলিয়া জারি করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।