বিজেপির পোস্ট করা ভিডিও-সহ তিনটি ভিডিওই যৌন নিগ্রহের প্রমাণ হাথরাস-কাণ্ডে
বিজেপির পোস্ট করা ভিডিও-সহ তিনটি ভিডিওই যৌন নিগ্রহের প্রমাণ হাথরাস-কাণ্ডে
বিজেপির আইটি সেল হাথরাসের গণধর্ষণের অভিযোগকে ছোট করো দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেল তিনটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে, ১৯ বছরের বয়সী তরুণীর উপর তার আক্রমণকারীরা নিয়মিত যৌন নিগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। এর আগে একবার পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন তরুণী।
ইন্ডিয়া টুডে টিভি একটি ভিডিও ক্লিপিং পরীক্ষা করেছে, যা বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, "এএমইউ-এর বাইরে একজন সাংবাদিকের কাছে ওই তরুণী দাবি করেন যে, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এগুলির কোনওটিই অপরাধের নৃশংসতা কম করে না।
অমিত
মালব্য
আরও
একটি
ভিডিও
প্রকাশ
করেছেন।
যেখানে
দেখা
যাচ্ছে
আহত
মেয়েকে
নিয়ে
থানার
বাইরে
মাটিতে
পড়ে
আছেন
মা।
সে্খানে
শুয়ে
হাহাকার
করচে।
সেই
ভিডিও
ফুটেজে
মা
ধর্ষণের
কথা
উল্লেখ
করেননি।
ভুক্তভোগীর
তিনটি
ভিডিওর
বিবরণ
যত্ন
সহকারে
শুনলে
জানা
যায়
যে,
তিনি
তার
আক্রমণকারীদের
দ্বারা
জোরপূর্বক যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেছিলেন। অমিত মালব্যর শুক্রবার পোস্ট করা প্রথম ক্লিপটি ১৪ সেপ্টেম্বর রেকর্ড হয়েছিল। অমিত মালভিয়া তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন যে, ফুটেজটি এএমইউর বাইরে শ্যুট করা হয়েছিল। এই ভিডিওতে তরুণী বলতে শোনা গিয়েছে আমাকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ভিডিওটি একই দিন হাথরাসের বাগলা সরকারি হাসপাতালে শ্যুট করা হয়েছিল। এই ক্লিপটিতে ভুক্তভোগী অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছেন। এই হামলার পেছনের ঘটনা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "হাম ঘাস লেনে গে থে ... আন্দর লে গায়ে মুঝে ... মেরা গালা দাবা দিয়া, মেরে সাথ জবরদস্তি করে অর্থাৎ আমি ঘাস কাটতে গিয়েছিলাম, আমাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আমাকে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল, তারা আমার উপর জবরদস্তি করেছিল।
আজ তাক এবং ইন্ডিয়া টুডে টিভি-সহ বিভিন্ন নিউজ নেটওয়ার্কে প্রচারিত তৃতীয় ভিডিওটিতে নির্যাতিতা দুজন ব্যক্তির নাম করে। রবি ও সন্দীপকে অভিযুক্ত বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এই ক্লিপটি ২২ সেপ্টেম্বর আলিগড়ের জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজে শুটিং করা হয়েছিল। তিনি ভিডিওতে অভিযোগও করেছিলেন যে, এটা অভিযুক্তদের দ্বিতীয়বার প্রচেষ্টা ছিল। তিনি প্রথম ঘটনার সময় পালাতে সক্ষম হন।