জঙ্গি দমনে সাফল্য জম্মু ও কাশ্মীরে! কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটের ২ হত্যাকারী-সহ মৃত্যু ৩ জনের
বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বদগাঁওয়ে সরকারি কর্মী কাশ্মীরি পণ্ডিত (kashmiri pandit) রাহুল ভাটকে (Rahul Bhat) হত্যার পরে দিনই সেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ জন-সহ তিন জঙ্গির (Terrorist) মৃত্যু হল এনকাউন্টারে (encounter)। এদিন এই একাউন্টারটি হয় বন্দিপোরায়।


বৃহস্পতিবার কাশ্মীরি পণ্ডিতের হত্যার ঘটনা
বৃহস্পতিবার বদগাঁওয়ে জঙ্গিরা সরকারি কর্মী কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটকে হত্যা করে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছিলেন রাহুলের স্ত্রী মীনাক্ষী। তিনি বলেছিলেন, স্বামীর খুনিদের হত্যা করা হলেই প্রকৃত বিচার পাবেন তিনি। রাহুলের স্ত্রী বলেছেন, তিনি স্বামীকে বলেছিলেন চাকরি ছেড়ে দিতে। গুলি চালনার ১০ মিনিট আগেও রাহুল স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। রাহুলের স্ত্রী মীনাক্ষী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বলির পাঠা করা করছেন। তারা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সরকার তাদের নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে ভাবছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরে গিয়ে নিরাপত্তা ছাড়াই ঘোরা ফেলার করুন, বলেছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মীনাক্ষী বলেছেন, তাঁর স্বামী রাহুল জেলা সদরে বদলির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বদলি করা হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, অফিসেরই কিছু লোক জঙ্গিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকতে পারেন।
|
দায় স্বীকার করেছিল কাশ্মীর টাইগার্স
বৃহস্পতিবার কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটের হত্যা কাণ্ডের পরেই, তার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল কাশ্মীর টাইগার্স নামে একটি সংগঠন। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার পরে কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

এনকাউন্টারে মৃত ৩ জঙ্গি
এদিন বন্দিপোরায় এনকাউন্টারের মৃত্যু হয়েছে তিন জঙ্গির। প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে এদের মধ্যে দুজন বৃহস্পতিবার কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটের হত্যার সঙ্গে জড়িত।

বুধবারের সংঘর্ষে পালায় ২ জঙ্গি
প্রশাসন সূত্রের খবর. বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরার সালিন্দর জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। বাকি দুজন পালিয়ে যায়। কাশ্মীর পুলিশের আইজি বলেছেন, বুধবার যারা পালিয়েছিল, শুক্রবার তাদেরই মৃত্যু হয়েছে।
১১ মে সালিন্দার জঙ্গলে জঙ্গি বিরোধী অভিযান থেকে পালিয়ে আসারা লস্করের সদস্য বলেই দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সম্প্রতি তারা অনুপ্রবেশ করে জানা গিয়েছে।
বাড়ি ও অফিস রয়েছে সরকারি জমিতে! আপের 'বুলডোজার' হুঁশিয়ারি দিল্লি বিজেপির প্রধানকে