পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যকে নিয়ে শঙ্কায় বিজেপি, ত্রিশঙ্কু বিধানসভা আসলে কী জেনে নিন
পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যকে নিয়ে শঙ্কায় বিজেপি, ত্রিশঙ্কু বিধানসভা আসলে কী জেনে নিন
প্রহর গুণছে পাঁচ রাজ্য। রাত পোহালেই জনতার রায় প্রকাশ্যে আসবে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় আগেই ইঙ্গিত মিলেছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কী হতে চলেছে। বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মধ্যে তিন রাজ্যে ত্রিশঙ্কু হবে বলে দাবি করা হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন ত্রিশঙ্কু বিধানসভাটি আসলে কী।
৫ রাজ্যের ফল আগামিকাল
৫টি রাজ্যের বিধাসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ আগামিকাল। ৫ রাজ্যেই বলতে গেলে এক প্রকার কাউন্টডাউন চলছে। কয়েক ঘণ্টায়র অপেক্ষা মাত্র। স্ট্রং রুমের দিকেই নজর রয়েছে সকলে। উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, মণিপুর, গোয়ার গণনাকেন্দ্রগুলি সব তৈরি হয়ে রয়েছে। সকাল হলেই সেখানে পৌঁছতে শুরু করবে ইভিএম। সেই সঙ্গে পৌঁছে যাবেন গণনাকর্মীরাও। কাজেই টানটান উত্তেজনায় আজ রাত কাটবে।
কী বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা
গত পরশুই এক প্রস্থ বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ্যে এসেছে। এবিপি সি ভোটার থেকে শুরু করে ইন্ডিয়া টুডে সহ একাধিক সংস্থা বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। তাতে উত্তর প্রদেশে বিজেপি আশানুরূপ ফল করবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বাকি চার রাজ্য উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুরে কিন্তু ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত মিলেছে। অর্থাৎ বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না। কোথাও পাল্লায় ভারী হবে কংগ্রেস, কোথও আম আদমি পার্টি আবার কোথাও আপ। এই নিয়েই চলছে টানাপোড়েন।
ত্রিশঙ্কু বিধানসভা আসলে কী
বারবার ত্রিশঙ্কু বিধানসভার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই এখনও জানে না ত্রিশঙ্কু বিধানসভা আসলে কী হতে চলেছে। ত্রিশঙ্কু বিধানসভা আসলে কোনও একটি রাজনৈতিক দল একক ভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না। যেমন যদি উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা মোট আসন ধরা হয় ৭০ তাহলে সেখানে এক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে গেলে যেকোনও রাজনৈকিত দলকে অর্ধেকের বেশি আসন পেতে হবে। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে উত্তরাখণ্ড. মণিপুর এবং গোটা এই তিন রাজ্যেও কোনও একটি রাজনৈতিক দল একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। যার জেরে কোনও একটি রাজনৈতিক দল একক ভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না। তার ফলে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হবে।
কীকরে সরকার গঠন
ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে প্রথমে বৃহত্তম সংখ্যা পাওয়া রাজনৈতিক দলকে ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলা হয়। ১০ দিনের মধ্যে যদি সেই রাজনৈতিক দল সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারে তাহলে সেই বিধানসভা বাতিল করে দিয়ে রাষ্ট্রপতি পুনরায় নির্বাচন ডাকতে পারে। অর্থাৎ ফের বিধানসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এই রকম ঘটনা ঘটে না। কারণ কোনও একটি রাজনৈতিক দল সাধারণত সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে যায়।