কাশ্মীর সীমান্তে অভিনব কায়দায় ড্রোনের সাহায্যে অস্ত্র পাচার পাকিস্তানের, ধৃত তিন লস্কর জঙ্গি
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলা থেকে গ্রেফতার তিন জঙ্গি। তারা লস্কর-ই-তইবা গোষ্ঠীর সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তাদের কাছ থেকে গোলাবারুদসহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত তিনজন দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা। নাম রাহিল বাসির, আমির জান, হাফিজ ইউনিস ওয়ানি। বয়স ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
ধৃতরা রাজৌরিতে অস্ত্র আনতে গিয়েছিল
জানা গিয়েছে ধৃতরা রাজৌরিতে অস্ত্র আনতে গিয়েছিল। অস্ত্রগুলি ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে সরবরাহ করা হচ্ছিল। জম্মুর ইনস্পেক্টর জেনারেল মুকেশ সিং জানিয়েছেন, তিন জনই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সদস্য। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দু'টি একে-৫৬ রাইফেল, ১৮০ রাউন্ড কার্তুজসহ ছয়টি একে-ম্যাগাজিন, দু'টি চিনা পিস্তল, ৩০ রাউন্ড কার্তুজসহ তিনটি পিস্তল ম্যাগাজিন, চারটি গ্রেনেড। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ১ লক্ষ টাকা।
সীমান্তে পাকিস্তানি গতিবিধি
এই অস্ত্র পাচারের পিছনে কোনও ভাবে পাকিস্তানি সেনার হাত আছে কিনা তা জানার জন্যে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে কাশ্মীর পুলিশ। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের তরফে বার বার সংর্ঘষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
বড়সড় হামলার ছক বানচাল
একদিন আগেই জম্মু কাশ্মীরের হাইওয়ের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক। ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা লস্কর ই তইবার সদস্য। জানা গিয়েছে প্রায় ৫২ কেজি মতো বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। উল্লেখ্য, যেই জায়গা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে তার ঠিক কিছু দূরেই ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রেও জঙ্গিদের সে-রকম কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
কাশ্মীরে পাকিস্তানের শেলিং
এদিকে একদিন আগেই জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় মর্টার শেল ফেলে পাক সেনারা। সূত্রের খবর, মর্টার শেলগুলো নিষ্ক্রিয় করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। অপরদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালাকোট সেক্টরকে লক্ষ্য করেই মর্টার শেল গুলো ফেলা হয়। সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, মর্টার শেলগুলো সফলভাবেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি বলেও জানা গিয়েছে।
দিল্লিতে পুলিশের জালে দুই চিনা গুপ্তচর, লাদাখ ছাড়িয়ে সংঘাত এখন খোদ রাজধানীতে