অগ্নিমূল্য সবজির বাজারে কোন অশনি সংকেত! 'পকেটে' চাপ বাড়াতে পারে কোন কোন ফসল
গত কয়েক মাস ধরেই ক্রমাগত বাড়ছে একাধিক সবজির দাম। এরইমধ্যে কলাইয়ের ডালে যাতে অগ্নিমূল্য বাজারে আঁচ না পড়ে , তাই তার চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য সমানানুপাতে রাখা হয়েছে। এদিকে, সূত্রের দাবি, ভারতে তিনটি অতি চাহিদা সম্পন্ন সবজির দাম এখনই কমবে না।
জানুয়ারিতে পেঁয়াজের দাম কমার আশা ছিল, কিন্তু...
আশা ছিল জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে পেঁয়াজের মূল্য খানিকটা হলেও কমতে শুরু করবে। তবে পরিসংখ্যান আর বাস্তবের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত রেখে পেঁয়াজের দাম এখনই কমবে না বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে খাদ্য দ্রব্যে মুদ্রাস্ফীতি ১৪.১২ শতাংশ ছিল। আর ২০১৮-১৯ সালের যে হিসাব যা বলছে , তাতে পূর্ব নির্ধারিত পরিসংখ্যান বলছে আগামী সময়ে টমাটো, আলু, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে উৎপাদনে কমতি পড়তে পারে।
তিনটি সবজি নিয়ে চিন্তা
পরিসংখ্যান
বলছে,
২০১৮-১৯
সালে
যে
উৎসপাদন
হয়েছে
ফসলে
তা
অভূতপূর্বভাবে
৩১০.৭৪
মিলিয়ন
টনের
মাত্রা
ছুঁয়েছে।
কিন্তু
সেই
তুলনায়
পেঁয়াজ,
টমাটো,
আলুর
উৎপাদন
অনেকটাই
কমে
গিয়েছে।
ফলে
এই
ফসলগুলির
চাহিদা
ও
যোগানের
কমতি
শুরু
হলেই
দেখা
যাবে
দামের
তারতম্য।
যা ভাবা হয়েছিল , তার থেকে অনেকটাই কম পেঁয়াজের উৎপাদন
এর আগে, ২০১৮-১৯ সালে র পরিসংখ্যান অনুযায়ী মনে করা হয়েছিল যে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ২৩.৬২ মিলিয়ন টনের পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। আর এবছরের শুরুতে তা ৩ শতাংশ নেমে যায়।
আলু-টমাটোর কী অবস্থা!
আলুর ক্ষেত্রে আশা ছিল ৫২.৫৮ মিলিয়নের উৎপাদনের, আর বাস্তবে সেই উৎপাদন কমেছে ২.৩৯ মিলিয়নে। টমাটোর ক্ষেত্রেও আশার তুলনায় ১.৫ মিলিয়ন টমের কমতি দেখা যাচ্ছে। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে এই তিন সবজির দামও কি আগামী দিনে একই হারে চড়া থাকবে, নাকি কোনও ক্রমে তা কমতির দিকে যাবে।