বেঙ্গালুরু ও মুম্বইয়ে তিনটে বড় মাদক চক্র ফাঁস, নাম জড়াল এক অভিনেতার
বেঙ্গালুরু ও মুম্বইয়ে তিনটে বড় মাদক চক্র ফাঁস, নাম জড়াল এক অভিনেতার
সুশান্ত সিং রাজপুত কাণ্ডে রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে মাদক যোগের সন্ধান পাওয়ার পর এবার নড়েচড়ে বসেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। সম্প্রতি এনসিবি গত দু’সপ্তাহে এমডিএমএ–এর বড়ি পাচারের সঙ্গে যুক্ত তিনটে বড় বড় মাদক সিন্ডিকেটের চক্র ফাঁস করে। আর এই চক্র ফাঁসের পরই নাম উঠে এসেছে বেঙ্গালুরুর এক সঙ্গীতকার ও অভিনেতার নাম। এনসিবি ইতিমধ্যেই ৪,৩১৭ এমডিএমএ বড়ি সহ ১৮০ টি এলএসডি ব্লট এবং ২.২ কোটি টাকা মুম্বই ও বেঙ্গালুরু থেকে উদ্ধার করেছে।
জার্মানি ও বেলজিয়াম থেকে আসে এই মাদকগুলি
মুম্বইয়ে এই এমডিএমএ বড়িগুলি সফট টয়েজের কার্ডবোর্ডের বাক্সে গর্ত করে লোকানো ছিল। এনসিবির বিবৃতি অনুযায়ী জার্মানি ও বেলজিয়াম থেকে উচ্চ-গুণমাণযুক্ত নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে আসা হয়েছিল। মুম্বই ও বেঙ্গালুরুতে হওয়া রেভপার্টিগুলিতে এই মাদকগুলি সরবরাহ করা হয়। বিটকয়েনের মাধ্যমে অনলাইনে এমডিএমএ বড়ি অর্ডার করেছিল এক পাচারকারী।
বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন জায়গা থেকে এমডিএমএ বড়ি উদ্ধার
২১ অগাস্ট বেঙ্গালুরুর এনসিবির বিশেষ জোনাল ইউনিট নির্দিষ্ট খবর পাওয়ার পর ১৪৫ এমডিএমএ বড়ি (৬০ গ্রাম), যা সাধারণত একট্যাসি নামে পরিচিত এবং ২,২০,৫০০ নগদ উদ্ধার করে কল্যাণ নগরের রয়্যাল স্যু্ট হোটেল থেকে। এই ঘটনার পরে এনসিবি বেঙ্গালুরুর নিকো হোমস থেকে ৯৬টি এমডিএমএ বড়ি ও ১৮০টি এলএসডি ব্লটস উদ্ধার করে। এনসিবি জানিয়েছে যে এক মহিলা মাদক সরবরাহকারী যিনি এই কাণ্ডের মূল চক্রী, তাকে ধরা হয়েছে এবং বেঙ্গালুরুর দোদাগুব্বিতে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৭০টি এমডিএমএ বড়ি। এনসিবি এই ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হল এম অনুপ, আর রবীন্দ্রান ও অনিখা ডি। এনসিবির প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্তরা সমাজের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও অভিনেতার পাশাপাশি কলেজ পড়ুয়া ও যুবক-যুবতীদের কাছে মাদক সরবরাহ করত। এই ঘটনায় ব্যাঙ্গালুরুর ইউনিট আরও বেশি সংখ্যক লোককে গ্রেফতার করতে পারে।
মুম্বইয়ের এক দম্পতি জড়িত
১০ অগাস্ট এনসিবির মুম্বই ইউনিট মোট ৩০১০ এমডিএমএ বড়ি বাজেয়াপ্ত করে, যা এসেছিল বেলজিয়াম থেকে গুরুগ্রামের ডিএইচএল এক্সপ্রেস ইন্ডিয়া লিমিটেডে। এই মাদক বড়িগুলি রাখা ছিল খেলনার বাক্সের মধ্যে গর্ত করে। এনসিবির দল নবি মুম্বইয়ের এক দম্পতির বাড়ি থেকে ৪৬টি এমডিএমএ বড়ি উদ্ধার করে। এই দম্পতি এই মাদকগুলি ব্রাসেল ও বেলজিয়াম থেকে এনেছিল। ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনসিবি সারাদেশে মাদক ওষুধের বিস্তৃত সিন্ডিকেট পাচারের সঙ্গে এই মামলার সংযোগগুলি তদন্ত করছে।
বেঙ্গালুরু থেকে বিরাট মাদক চক্র ধরা পড়ে
এর আগে ৩১ জুলাই, এনসিবির ব্যাঙ্গালুরু জোনাল ইউনিট বিদেশি পোস্ট অফিসে জার্মানি থেকে আসা মোট ৭৫০ এমডিএমএ বড়ি (১৫৯ গ্রাম) বাজেয়াপ্ত করেছিল। এরপরে, ১৯ অগাস্ট এনসিবি দল পার্সেলটি যে রিসিভ করেছিল তাকে গ্রেপ্তার করে, এই ধৃত রহমান পলাতক ছিল বলে জানা যায়। রহমান তার কলেজের পড়ুয়া এবং আশেপাশে অন্যান্যদের কাছে এমডিএমএ এবং অন্যান্য পার্টি মাদকগুলি বিক্রি করেছিল। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, যে অভিযুক্তরা বিটকয়েনের বিনিময়ে এমডিএমএ বড়িগুলির অনলাইনে কিনেছিল।
দু-মাস ধৈর্য্য ধরলেই মিলবে টিকা! গবেষণার উপর আস্থা রাখার আর্জি সিরাম অধিকর্তার