রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ফোন, টার্গেটে আম্বানি পরিবার
ফের টার্গেটে রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর পরিবার। স্যার এইচএন রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। আর সেই হুমকি দিয়ে ফোন। এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ফোন করে এই হুমকি দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। শুধু হাসপ
ফের টার্গেটে রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর পরিবার। স্যার এইচএন রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। আর সেই হুমকি দিয়ে ফোন। এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ফোন করে এই হুমকি দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। শুধু হাসপাতাল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিই নয়, মুকেশ আম্বানিকেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের।
একই সঙ্গে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে মুকেশ-পত্নী নীতা, দুই পুত্র আকাশ ও অনন্ত অম্বানীকেও। আর এরপরেই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
শুরু হয় জোর চর্চা।
ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ওই হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় ডিবি মার্গ থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে এবং কোথা থেকে এই ফোন এল তা নিয়ে শুরু হয়েছে খোঁজখবর। বিষয়টি মোটেই হালকা ভাবে নিতে নারাজ তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ হাসপাতালের ল্যান্ড ফোনে এই হুমকি ফোন আসে। আর এরপরেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা।
হুমকির ঘটনা নতুন নয়।
বলে রাখা প্রয়োজন, হাসপাতালের ফোন করে হুমকির ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছরের অগস্ট মাসেও মুম্বইয়ের স্যার এইচএন রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নাশকতা চালানোর হুমকি দিয়ে ফোন এসেছে। এমনকি মুকেশ আম্বানিকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় সেই সময়। যদিও এই ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
Z Plus দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যদিও গত কয়েকদিন আগেই বশেষ কিছু তিথ্যের ভিত্তিতে মুকেশ আম্বানির নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা Z Plus দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিকে আগে 'জেড' ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। বলে রাখা প্রয়োজন, গত বছর মুকেশ আম্বানির আবাস অ্যান্টিলিয়া বাইরে বোমা পাওয়া গিয়েছিল। এমনকি গোয়েন্দা সূত্রে আম্বানির প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে এমন কিছু তিথ্য মন্ত্রকে জমা পড়েছে। আর এরপরেই Z Plus দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রশ্নের মুখে রিলায়েন্স কর্তার সুরক্ষা।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, Z+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তায় ৫৮ জন কমান্ডো মোতায়েন থাকে। যেখানে ১০ জন NSG জওয়ান বা ওই স্তরের কমান্ডো রয়েছে, যারা 24×7 পাহারা দেয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজন মনে হলে অতিরিক্ত নিরাপত্তাও দেওয়া হয়। উল্লেখ্য দেশের মধ্যে ধনীদের তালিকাতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রিলায়েন্স কর্তা। এমনকি বিশ্বের হিসাবে এই মুহূর্তে ১০ জনের মধ্যেই রয়েছেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে বারবার হুমকির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রিলায়েন্স কর্তার সুরক্ষা।