বকেয়া আদায়ে অনিল আম্বানির কয়েক হাজার কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সম্ভাবনা, বড় পদক্ষেপ চিনা ব্যাঙ্কের
ইতিমধ্যেই ঋণখেলাপীর অভিযোগে লন্ডনের কোর্টে ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজিরা দিতে হচ্ছে রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানিকে। সম্প্রতি চিনের ওই তিন ব্যাঙ্ক অনিল আম্বানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মাধ্যমে ৫,৩০০ কোটি টাকা ঋণ আদায়ের বন্দোবস্ত করার তোড়জোড় করছে বলে জানা যাচ্ছে।

আইনি খরচ আম্বানির ঘাড়ে চাপানোর ছক
সূত্রের খবর, বর্তমানে চিনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক ও ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক মামলা বাবদ সকল আইনি খরচ অনিলের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। রিপোর্ট বলছে, লন্ডন আদালতের শুক্রবারের শুনানির ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় ওই তিন ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে, ভারতে ওই তিন ব্যাঙ্ক ঋণশোধের কোনোরকম কার্যক্রম এখনও পর্যন্ত শুরু করতে পারেনি। জানা গেছে, এ বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে দিল্লির উচ্চ আদালত। যদিও ব্যাঙ্কগুলির তরফে জানানো হয়েছে ভারতে থাকা অনিলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতেও তারা যথেষ্ট তৎপর।

বিশ্বের ষষ্ঠ ধনীব্যক্তি আজ দেউলিয়া
একদা বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা অনিল আম্বানি জানিয়েছেন, এখন আইনি খরচ চালাতে গিয়ে পরিবারের সমস্ত গয়না বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এই বছরের ২২শে মে লন্ডনের আদালত তাঁকে ৭.০৪ কোটি টাকা সুদ সহ প্রায় ৫,২৭৬ কোটি টাকা ওই তিন চিনা ব্যাঙ্ককে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ২৯শে জুন ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭১.৭৬ কোটি মার্কিন ডলার। শুক্রবারের শুনানির পরপরই আদালতের নির্দেশে অনিল আম্বানির সম্পত্তি বলপূর্বক বাজেয়াপ্তের মাধ্যমে দেনা মেটানোর কাজ শুরু করতে চলেছে ওই তিন ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর, অনিল আম্বানি সর্বসমক্ষে হলফনামা প্রকাশের পরই কাজ শুরু করবে ব্যাঙ্কগুলি।

অনিলের সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশের নির্দেশ
গত ২৯শে জুন, লন্ডনের উচ্চ আদালত অনিল আম্বানিকে তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি, ঋণ, ব্যাঙ্কের সম্পত্তির পরিমাণ, শেয়ার শংসাপত্র, ব্যালেন্স শিট, আয়ব্যয় ও তহবিলের খতিয়ান চেয়ে হলফনামা প্রকাশ করতে নির্দেশ দেয়। একইসাথে শুনানির পর বিচারক জার্ভিস কে কিউসি তিনটি ব্যাঙ্কের আইনি খরচ বাবদ ১.৩১ কোটি জমা করার নির্দেশ দেয় আম্বানিকে।

২০১২ সালেই ৬,৮১৭ কোটির ঋণ
নথি বলছে, ২০১২ সালে অনিল আম্বানির আরকমকে ৬,৮১৭ কোটির লোন দেয় ওই তিন চিনা ব্যাঙ্ক। প্রথম কয়েকটি কিস্তি শোধ করলেও তারপরেই অনিয়মিত হয়ে পড়ে ঋণশোধ। চিনা ব্যাঙ্কগুলির দাবি, অনিল আম্বানি ব্যক্তিগত গ্যারান্টির ভিত্তিতে লোন নেন। যদিও আম্বানি এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। এদিকে ইতিমধ্যেই আম্বানির এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "অনিল আম্বানি এখন বেশিরভাগ সময় পরিবারের সাথে সময় কাটান। মদ, মাংস, মাছ ব্যতীতই জীবনযাপন করেন তিনি।" আম্বানির রোলস রয়েল চড়া ও বিলাসবহুল জীবনযাপনের গুজবটিকেও 'অলীক কল্পনা' বলে সংবাদমাধ্যমে জানান তিনি।
কৃষি বিল অজুহাত মাত্র, বিজেপির উপর আগে থেকেই খাপ্পা ছিল অকালি দল!