কাশ্মীর ইস্যুতে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, নিহতেরা এদেশেরই সন্তান!
নয়াদিল্লি, ২২ অগাস্ট : জম্মু ও কাশ্মীরে গত দেড় মাস ধরে চলা অশান্তির প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে সর্বদল বৈঠকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এবার কাশ্মীরের বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে তৈরি একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপত্যকা নিয়ে বৈঠক করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদী। [কাশ্মীর নিয়ে মোদীর সমালোচনা করতে গিয়ে মুখ ফসকে একি বললেন দিগ্বিজয় সিং?]
এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে একটি দল প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করে। কাশ্মীরের সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায়। [হাফিজ খালিদ ওয়ালিদ, ভারতের মাথাব্যথার নয়া কারণ এই জঙ্গি! কি এর পরিচয়?]
সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই আমাদের অংশ, এই দেশের নাগরিক। এছাড়া তিনি আরও জানান, সংবিধানের আওতায় থেকেই আলোচনার মাধ্যমে এর স্থায়ী সমাধানে পৌঁছতে হবে। [কাশ্মীরে অশান্তির জন্য দায়ী জওহরলাল নেহেরু!]
হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই কাশ্মীরে নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়েছে। সেনা-জনতা সংঘর্ষে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ ছাড়াও সেনা ও পুলিশকর্মীরা রয়েছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জানান, কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের প্রাণ যাক, অথবা সেনা-পুলিশ নিহত হোন, প্রত্যেকের মৃত্যুই আমাদের বেদনাহত করে। [ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার পাক জঙ্গিদের]
এদিনের বৈঠকে ন্যাশনাল কনফারেন্স ছাড়াও সিপিআই-এম ও কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দলের নেতারাই উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিরোধী নেতারা একটি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীকে জমা দেন, তাতে উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর পাশাপাশি পেলেট বন্দুকের গুলি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া কাশ্মীর নিয়ে সমস্ত পক্ষকে এক জায়গায় এনে বৈঠকের দাবিও জানানো হয়েছে।