'তবলিঘি সদস্যরা যদি নিজে থেকে না ধরা দেন , তাহলে গুলি করা হোক'! বিজেপি নেতা আরও যা বললেন
'তবলিঘি সদস্যরা যদি নিজে থেকে না ধরা দেন , তাহলে গুলি করা হোক'! বিজেপি নেতা আরও যা বললেন
ভারতের করোনা আক্রান্তদের নিয়ে ন্যাশনাল ট্রেন্ডকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে তবলিঘির সম্মেলনের ঘটনা। এমন দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। মন্ত্রক আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে ভারতের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ শতাংশই তবলিঘির সদস্য। এদিকে, তবলিঘির সম্মেলন থেকে যাঁরা ফিরছেন তাঁরা যেন নিজেদের সম্পর্কে প্রশাসনকে জানান,তার আর্জি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিতর্ক উস্কে এলো বিজেপির বিধায়কের এক মন্তব্য।
গুলির নিদান!
' তবলিঘি জামাতের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে যাঁরা চেক আপ করাচ্ছেন না , রোগের শনাক্তকরণকে এড়িয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের যেন সরকার ছাড় না দেন! এমনকি এঁদের গুলি করে মারাটাও অন্যায় হবে না। নয়তো সারা দেশে ভাইরাস ছড়িয়ে যাবে।..' এমন মন্তব্য কর্ণাটকের বিজেপি নেতা এমপি রোনুকাচার্যের।
তবলিঘি নিয়ে সাফ বার্তা বিজেপি নেতার
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কন্নড় এই বিজেপি নেতা বলেন, 'কোভিড ১৯ ছড়িয়ে দেওয়াও ধরনের সন্ত্রাস। যারা এই ভাইরাস ইচ্ছে করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা দেশদ্রোহী। যাঁরা দিল্লি থেকে ধর্মীয় সভা করে ফিরেছেন তাঁদের হাসপাতালে যাওয়া উচিত। কিন্তু অনেকেই তা করছেন না। '
তবলিঘি নিয়ে কড়া কর্ণাটক!
কর্ণাটকের বিজেপি শাসিত সরকার জানিয়ে দিয়েছে, যে দিল্লি ফেরত তবলিঘি জামাতের সদস্যদের খুঁজে বার করতে সমস্ত পন্থা অবলম্বন করবে রাজ্য। তাতে 'প্রোটোকল' ভাঙতে হলে কন্নড় সরকার রাজি রয়েছে। এখনও বহু তবলিঘি সদস্য কর্ণাটকে লুকিয়ে রয়েছেন বলে খবর রয়েছে প্রশাসনের কাছে।
পরিসংখ্যান কী বলছে?
নিজামুদ্দিনের ঘটনায় আপাতত মূল অভিযুক্ত মৌলানা সাদ গা ঢাকা দিয়েছেন। বাকি বিভিন্ন রাজ্য থেকে তবলিঘির ১ হাজার জন কোভিড ১৯ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এদিকে, কর্ণাটকের ৩৬১ জন তবলিঘির অনুষ্ঠানে দিল্লি গিয়েছিলেন বলে খবর। এঁদের মধ্যে অনেকেউ তত্ত্ব তলাশ করছে প্রশাসন। কারণ অনেকেই নিজেদের কথা গোপন রাখছেন প্রশাসনের কাছে।