ফের বিতর্কে তাজমহল! বদলে যাচ্ছে তাজ মহোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
ফের বিতর্ক তাজমহলকে ঘিরে। ভগবান রামকে নিয়ে হওয়া নৃত্যনাট্য দিয়ে এবছরের তাজ মহোৎসব শুরুর উত্তর প্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ফের বিতর্ক তাজমহলকে ঘিরে। ভগবান রামকে নিয়ে হওয়া নৃত্যনাট্য দিয়ে এবছরের তাজ মহোৎসব শুরুর উত্তর প্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তাজমহলের পূর্বগেটের শিল্পগ্রামে ১৮ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি বসতে চলেছে এবছরের তাজ মহোৎসব। এতদিন পর্যন্ত তাজ মহোৎসব শুরু হত মুঘল সংস্কৃতিকে উদ্ধৃত করেই। এবার সেখানে আনা হচ্ছে ভগবান রাম সংক্রান্ত নাটক।
সূত্রের খবর, মুঘল পরম্পরাকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলে রামচন্দ্রের জীবনী ভিত্তিক নৃত্যনাট্য দিয়েই শুরু হবে তাজ মহোৎসব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই নৃত্যনাট্য পরিবেশন করবেন শ্রীরাম কলাকেন্দ্রের কুশলীরা।
রাজ্য সরকারের দাবি, স্থানীয় অফিসাররাই তাজ মহোৎসবের দায়িত্বে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নেয়নি যোগী আদিত্যনাথের সরকার। দাবি করা হয়েছে সরকারের তরফে।
তাজ মহোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল রাম নায়েককে।
অনুষ্ঠানের গৈরিকীকরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তর প্রদেশের পর্যটন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর দীনেশ কুমার। তাঁর দাবি, তাজ মহোৎসব কমিটি বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ থিমকে বেছে নিয়েছে তাজ মহোৎসব কমিটি।
উত্তর প্রদেশের পর্যটন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, শহরের মানুষের কাছ থেকে থিমের বিষয়ে ধারণা চাওয়া হয়েছিল। তাজ মহোৎসব কমিটি ১৮০ থেকে ১৮৫ টি ধারণা পেয়েছিল। এরপর কমিটিই 'ধারোহর' থিমটিকেই বেছে নেয়।
উৎসবের থিম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা বিজয় শিবহারে। বিরোধীদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, তাঁরা কি হিন্দু নন? যখন তাঁরা ঘুম থেকে ওঠেন, তখন কি তাঁরা ভগবান রামের নাম করেন না?
যদিও সমাজবাদী পার্টির নেতা ঘনশ্যাম তিওয়ারি এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযাগ, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়ে বিজেপি মানুষের নজর অন্য দিকে ঘোরাতে চাইছে।
তাজমহলকে ঘিরে বিতর্ক এটাই প্রথম নয়। গতবছরের অক্টোবরে কেন্দ্রের প্রকাশিত ঐতিহাসিক সৌধ হিসেবে প্রথম ১৪-র তালিকায় ছিল না তাজমহলের নাম।
বিজেপি নেতা সুব্রামনিয়ান স্বামী অভিযোগ করেছিলেন, জয়পুরের রাজার কাছ থেকে তাজমহল চুরি করেছিলেন শাহজাহান। তাঁর দাবি, জয়পুরের রাজা-মহারাজাদের চাপ দিয়ে তাজমহলের জমি বিক্রিতে বাধ্য করেছিলেন শাহজাহান, এটা প্রমাণ রয়েছে। ৪০ টি গ্রামের জন্য এর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। যা সম্পত্তির মোট মূল্যের সঙ্গে তুলনীয় নয়।
বিজেপির সাংসদ বিনয় কাটিহারের ঐতিহাসিক সৌধকে তাজমহল হিসেবেই মেনে নিতে অস্বীকার করেছিলেন। তাঁর মতে এটা 'তেজো মহল'।
বিজেপি বিধায়ক সঙ্গীত সোম বলেছিলেন, তাজের সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসঘাতক মুঘল শাসকরা ভারতের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছিলেন, সেই ইতিহাসকে পাল্টে দেবে বিজেপি সরকার।