গুজরাতের দুয়ারে নির্বাচন, এই গ্রামে চাইলেও কেউ করতে পারে না প্রচার
গুজরাতের দুয়ারে নির্বাচন, এই গ্রামে চাইলেও কেউ করতে পারে না প্রচার
যে দেশে প্রত্যেক বছর কোনও না কোনও নির্বাচন হয়, এবং পার্টিগুলি বিভিন্ন ভাবে ভোট টানতে নেমে পড়ে ময়দানে সেখানে সবার থেকে আলাদা গুজরাতের এই গ্রাম। সেখানে সম্পূর্ণ অন্য নিয়ম চলে।
এই গ্রাম নিজে থেকেই নানা নোটিশ বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। তাদের আছে কিছু নিয়ম কানুন। সেগুলিই সেখানকার বাসিন্দাদের মেনে চলতে হয়।
রাজসমাধিয়ালা গ্রাম , যা অবস্থিত রাজকোট জেলায় সেখানে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ রাজনৈতিক প্রচার। সেখানকার মানুষ মনে করেন যে এখানে কোনও রাজনৈতিক প্রচার করলে ওই এলাকায় কুপ্রভাব পড়বে ওই এলাকায়।
ভোটের প্রচার নিষেধ
গ্রামের যে প্রধান তাঁর মতে, এই যে রাজনৈতিক দল ভিতরে প্রবেশ করা নিষেধের যে ভাবা হয়েছে তা আজ নতুন নয়। ১৯৮৩ সালে।
যদিও মানুষ এখানে গণতন্ত্রের নির্বাচনে কী প্রভাব রয়েছে তা খুব ভালো করে জানে। তাই ভোট দেওয়া আমাদের এখানে সবার জন্যই কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাও সবাই জানেন। যারা ভোট দেবার জন্য যোগ্য তারা সবাই এখানে ভোট দেন।
জরিমানা
গ্রাম উন্নয়ন কমিটি এখানে নানা নিয়ম কানুন বানিয়ে রেখেছে। আর এই সব নিয়ম তৈরি করা হয়েছে রাজসমাধিয়ালার মানুষের জন্য। কোনও একটি নিয়ম না মানলে সেখানে জরিমানা দিতে হয়। তাদের মধ্যে একটি হল এই ভোট না দেওয়া। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভোট দেন না তাদের ৫১ টাকা করে জরিমানা দিতে হয়। গ্রামে কিন্তু আধুনিক জীবনযাপন করার জন্য সবকিছু রয়েছে। ওয়াইফাই থেকে শুরু করে সিসিটিভি, আরও ফিল্টারিং জল, একদম সেরা জেলা স্তরের ক্রিকেট মাঠ সবকিছু আছে।
নিয়ম কানুন
এখানে কোনও সমস্যা সমাধান হয় লোক আদালত বসিয়ে। এখানে কেউ যত্রতত্র থুতু ফেলতে পারবে না। সরাকরি সম্পত্তি নষ্ট করা যাবে না। আবর্জনা রাস্তায় ফেলে রাখা যাবে না। যুবকদের কাজ করতেই হবে। অলসভাবে ঘোরাফেরা করা যাবে না। প্লাস্টিকমুক্ত গ্রামটি দেশের মডেল গ্রাম হিসাবে চিহ্নিত। এই গ্রাম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার সহ একাধিক সরকারি সম্মান পেয়েছে।
১৮২ আসনে ভোট
এই গ্রাম গুজরাতের। এই রাজ্যতে ১৮২ আসনে ভোট হবে। এখানে দুই দফায় ভোট হবে। প্রথম দফায় ভোট হবে পয়লা ডিসেম্বর , পরের দফায় ভোট হবে ৫ ডিসেম্বর। ভোটের গণনা হবে। এখানে দেখা যাচ্ছে ধারেভারে এগিয়ে বিজেপি। তাঁরা সপ্তমবারের জন্য এখানে সরকার গঠন করতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যেতেই বিধানসভায় হট্টগোল বিজেপি বিধায়কদের, সার নিয়ে তরজা তুঙ্গে