১০ বছর ও তার উর্ধ্ব বয়সের শিশুদের ওপর এবার সেরো–সমীক্ষা চলাবে আইসিএমআর
দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষা চালাবে আইসিএমআর
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) তাদের দ্বিতীয় সেরো–পর্যবেক্ষণ সমীক্ষা শুরু করবে। এই সমীক্ষায় তারা ১০ বছর ও তার উর্ধ্বে শিশুদের ওপর পরীক্ষা চালাবে। আইসিএমআর এর আগে প্রাপ্তবয়স্কদের (১৮ বছরের উর্ধ্বে) ওপর এই সমীক্ষা চালিয়েছিল, তখন দেখা হয়েছিল যে তাঁদের রক্তে কোভিড–১৯ অ্যান্টিবডি রয়েছে কিনা।
প্রথম সেরো সমীক্ষার মতই দ্বিতীয় সমীক্ষা হবে
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে প্রথম সমীক্ষার মতো দ্বিতীয় সমীক্ষাও দেশের একই ৭১ টি জেলা জুড়ে পরিচালিত করার লক্ষ্য রয়েছে এবং তা ভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে করা হবে। ২৬,৪০০ স্বতন্ত্র ব্যক্তির নমুনার আকারও একই থাকবে।
এই সমীক্ষা শেষ হবে আগমা মাসের প্রথম সপ্তাহে
আইসিএমআরের বিজ্ঞানী ডাঃ রজনী কান্ত বলেন, ‘পুনরায় এই সমীক্ষা একই জেলাগুলিতে করা হবে। তবে দ্বিতীয় সমীক্ষায় ১০ বছর ও তার উর্ধ্বে যাদের বয়স রয়েছে সেইসব শিশুকেও এই সমীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমরা একই পরিবারের সদস্যদের ওপরও সমীক্ষা চালাবো। এগুলি দ্বিতীয় সমীক্ষার নতুন কারণ।' তিনি আরও জানিয়েছেন যে অধিকাংশ জেলায় হওয়া এই সমীক্ষা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষে হয়ে যাবে। সমীক্ষার ফলাফল শেষ করতে আগামী মাসের শেষ পর্যন্ত সময় লাগবে।
সংক্রমণের ধরন বোঝার জন্য এই সমীক্ষা
সেরো-সমীক্ষার প্রথমদিকে আইসিএমআর জানিয়েছিল যে ভারতের মাত্র ০.৭৩ শতাংশ জনসংখ্যা নতুন করোনা ভাইরাসের ইতিহাস প্রকাশ্যে এনেছিল। প্রথম করোনা ভাইরাস সমীক্ষা হয়েছল এপ্রিল ও মে মাসে। সংক্রমণের ধরন বোঝার জন্য আনলক পর্যায় ও তার আগে উভয় দিকই খতিয়ে দেখা হবে। রোগ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলি গৃহীত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
আইসিএমআরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে ছিলেন সেরো-সমীক্ষাগুলি সার্স-কোভ-২ সংক্রমণের সংখ্যা নির্ধারণ করবে এবং আলাদাভাবে উপসর্গ নেই এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করবে। দ্বিতীয় সমীক্ষায় সম্প্রদায়ের কত শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে তাও খতিয়ে দেখবে এবং দেশে সম্ভাব্য হার্ড ইমিউনিটি ক্ষমতা কতটা তা নির্ধারণ করবে।
শিশুদের ওপর সেরো–সমীক্ষা চ্যালেঞ্জের
সরকারি এক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক গিরিধর বাবু জানিয়েছেন যে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে সব বয়সের মধ্যে এই সেরো-সমীক্ষা করা,বিশেষ করে শিশুদের ওপর। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক নয় তাদের ওপর এই ধরনের সমীক্ষা করা সত্যিই খুব চ্যালেঞ্জের। এটি যেহেতু নৈতিকভাবে কঠিন তাই অধিকাংশ সমীক্ষায় এর ফলাফল দেখা যায় না।
৫০ দিনের বেশি শরীরে টিকতে পারছে না কোভিড অ্যান্টিবডি! গবেষণায় মিলছে উদ্বেগজনক তথ্য