ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য, জ্বলন্ত লরি চালিয়ে শহরকে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচালেন এই ব্যক্তি
ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য, জ্বলন্ত লরি চালিয়ে শহরকে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচালেন এই ব্যক্তি
এক ব্যক্তির দ্রুত বুদ্ধির জোরে কেরলের কোডেনচেরি শহর রক্ষা পেল এক বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে। জানা গিয়েছে, রবিবার ধানের তুষে ভর্তি এক লরি ওভারহেডের পাওয়ার লাইনের সংস্পর্শে আসার পর তাতে আগুন ধরে যায়। লরির চালক সেই সময় অসহায় হয়ে পড়েন এবং তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে আগুনে তাঁর লরি সম্পূর্ণভাবে জ্বলে যাবে। কিন্তু এই বিপদের মুখেই এক ব্যক্তি লাফিয়ে পড়েন এবং লরিটিকে বাঁচিয়ে বড় ঘটনার হাত থেকে সকলকে বাঁচান।
লরির চালক লরি থেকে লাফ দেওয়ার পর আগুন নেভাতে যখন অসফল হন ঠিক সেই সময় সিনেমার কায়দায় দৃশ্যে প্রবেশ করেন শাজি ভার্গেস। রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। শহরে শাজি পাপন নামে পরিচিত ভার্গেস এরপর জ্বলন্ত লরিতে লাফ দিয়ে উঠে পড়েন এবং সেটা চালিয়ে খালি মাঠে নিয়ে যান আর তাঁর এই বুদ্ধির জোরেই বিস্ফোরণের হাত থেকে রক্ষা পায় গোটা শহর ও শহরবাসী। তিনি তাঁর উপস্থিতি বুদ্ধির জোরে ভিড় এলাকা থেকে শুধুমাত্র জ্বলন্ত লরিটিকেই সরিয়ে আনেননি বরং তিনি লরিটিকেও বাঁচিয়েছেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি যতটা সম্ভব জ্বলন্ত বোঝা নামিয়ে ফেলার জন্য 'জিগজ্যাগ’ পদ্ধতিতে গাড়িটি চালিয়েছিলেন। ভার্গেস সহ অন্যান্য স্বেচ্ছা সেবকদের সহায়তায় দমকল বাহিনী আসার আগেই লরিটিকে পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে নেওয়া হয় এবং পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন তাঁরা। তাঁর এই দুঃসাহসিক পদক্ষেপের ভিডিও ইতিমধ্যেই অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে। ভার্গেস এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি ২৫ বছর ধরে ভারী শুল্ক চালক হিসাবে কাজ করছি। আমার মনে হয় আমার গ্রামে ও বিদেশে এই ধরনের ধুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি সামলানোর অভিজ্ঞতাই আমায় এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য সহায়তা করেছে।’
৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি জানান যে রবিবারের এই ঘটনার পর তাঁর নায়কাচিত আচরণ ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তারপর থেকেই একাধিক সরকারি অনুষ্ঠানে আমায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকেও অনবরত ফোন করে প্রশংসাও পাচ্ছেন তিনি। মুকাম ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের কর্মকর্তারাও ভার্গিসের সময়মতো হস্তক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অফিসার পিয়াস অগাস্টিন বলেন, ফায়ার স্টেশনটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিনি পরিস্থিতি পরিচালনা না করলে আগুনের প্রভাব অপ্রত্যাশিত হতে পারত।