করোনা রোগীর দেহ বাড়ি নিয়ে আসতে হলে মানতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই নিয়ম
করোনা রোগীর দেহ বাড়ি নিয়ে আসতে হলে মানতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই নিয়ম
করোনা ভাইরাস নিশ্চিত বা কোভিড–১৯ সন্দেহজনক কোনও রোগীর দেহ বাড়িতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এক নির্দেশিকা জারি করা হল। যদিও সরকার এ বিষয়ে জোর দিয়ে জানিয়েছিল যে এ ধরনের কেসে দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে নয় সরকার।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে
নির্দেশিকা অনুসারে, যদি করোনা নিশ্চিত বা সন্দেহজনক কোনও রোগীর দেহ ভারতে আসলে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে আগে মৃত্যুর শংসাপত্র দেখে মৃত্যুর কারণ যাচাই করতে হবে এরপর ভারতীয় মিশন এবং একটি অনুমোদিত সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মৃতদেহটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘নো অবজেকশন' শংসাপত্র প্রয়োজন হবে। বিমানসংস্থাকে নিশ্চিত করতে হবে যেন কফিনটি যেন কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য আধিকারিক ১৯৫৪ সালের ভারতীয় এয়ারক্রাফট (জনস্বাস্থ্য) নীতির অন্তর্ভুক্ত সমস্ত নথি ও কফিনের বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখবেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘বাহ্যিক প্যাকিংয়ের ক্ষতির কোনও সুস্পষ্ট লক্ষণ থাকলে, হ্যান্ডলার তাতে পুরো পিপিই ব্যবহার করতে পারে, কফিনটি পুরো প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে যাতে শেষকৃত্যের জন্য সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার আগে ওই দেহের সঙ্গে কারোর সংস্পর্শ না হয়।'
দেহ পরিচালনকারীকে সব নিয়ম মেনে চলতে হবে
ওই দেহটিকে যাঁরা পরিচালনা করবেন তাঁরা যেন সরকারের সব নিয়ম মেনে চলেন এবং পিপিই ব্যবহার করেন। এছাড়াও কোভিড-১৯-এর সুরক্ষা ব্যবস্থা, যেমন সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া ইত্যাদি মেনে চলেন সেই সময়। মৃতদেহ সমাধিস্থ বা দাহ করার পর রোগজীবাড়ু সহ কফিটিও পুড়িয়ে দেওয়া হবে। যাঁরা দেহটি নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের ২৮দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং গাড়িটিকে জীবাণুমুক্ত করা হবে। নির্দেশিকা অনুসারে কযে বিমানে করে দেহটি আনা হয়েছে সেটিকেও জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং কার্গো পরিচালনা করেছেন যে সব কর্মী তাঁদের ২৮ দিন কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে।
মৃতের ছাই থেকে কোনো ঝুঁকি নেই
তবে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে দেহ দাহ করার পর ছাই থেকে আত্মীয়-পরিজনদের কোনও ঝুঁকি নেই। মহামারি চলাকালীন বিমানে যে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে তাকে কোভিড-১৯ সন্দেহ করা উচিত, অন্যথায় প্রমাণিত হলে এবং পাইলটকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিমানে মৃত্যুর কথা জানাতে হবে। যদি বিমানটি ভারতের সীমার মধ্যে অবতরণ করে তবে বিমান সদস্যকে ওই দেহটি প্লাস্টিক ও কম্বল দিয়ে মুড়ে অন্য আসনে নিয়ে আসতে হবে। যদি বিমানের সময় আট ঘণ্টার বেশি থাকে তবে পাইলট কাছের কোনও বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য অনুমতি চাইতে পারে।