প্যাকেটজাত দুধ বা মাংস খারাপ কিনা তা জানান দেবে এই দেশীয় প্রযুক্তি
প্যাকেটজাত দুধ বা মাংস খারাপ কিনা তা জানান দেবে এই দেশীয় প্রযুক্তি
প্যাকেটজাত খাবার বিশেষ করে দুধ অনেকসময়ই কেনার পর বাড়িতে নিয়ে আসলে তা নষ্ট বের হয়। কিন্তু তা আগে থেকে কোনওভাবেই বোঝার উপায় থাকে না গ্রাহকদের। তবে এই মুশকিল আসান করার সহজ এক উপায় শীঘ্রই আসতে চলেছে, যেখানে দুধ আদৌও খারাপ হয়েছে কিনা বা ভালো আছে তার আভাস দেবে প্যাকেটের রং বদলে যাওয়া। মাইসুরু সিএসআইআর–সেন্ট্রাল ফুড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএফটিআরআই) এমনই এক প্রযুক্তি আনতে বদ্ধপরিকর যাতে সংরক্ষণ করা খাবার তাজা রয়েছে না কারাপ হয়ে গিয়েছে তা বোঝা যাবে।
প্যাকেটজাত দুধ ও মাংসের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হবে
সিএফটিআরআই-এর বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হবে প্যাকেটজাত দুধ ও মাংসের ক্ষেত্রে, কারণ এই খাবারগুলির মেয়াদের তারিখ পেরিয়ে গেলে তা খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও যদি সঠিক ও উল্লেখ করা তাপমাত্রায় এই খাবারগুলিকে না রাখা হয় তবে তা খারাপ হয়ে যেতে পারে।
স্পয়লেজ ইন্ডিকেটর
বিজ্ঞানীরা একে ‘স্পয়লেজ ইন্ডিকেটর' নাম দিয়েছে, যা তৈরি হয়েছে বিশেষ ধরনের যৌগিক দিয়ে যা রং বদলের মাধ্যমে জানান দেবে যে পণ্যটি আদৌ তাজা রয়েছে কিনা। যদি খাবারটি জাজা ও ভালো হয় তবে রং হবে সবুজ, কমলা রঙের ডট থাকলে বুঝতে হবে তা খারাপ হতে শুরু করেছে এবং লাল রং হলে তা সম্পূর্ণভাবে খারাপ বলে বিবেচিত হবে।
সিএফটিআরআই–এর নিজস্ব প্রযুক্তি
আত্মনির্ভরতা নিয়ে দেশে হইচই হওয়ার আগেই সিএফটিআরআই তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তারা শীর্ষে ছিল। ফুড প্যাকেজিং প্রযুক্তির প্রধান ও মুখ্য বিজ্ঞানী ডঃ রাজেশ্বর মাচে বলেন, ‘দুধ বা মাংসের মতো পণ্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। দুধ যদি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে না থাকে তবে তার আয়ু দু'দিন, এরপরই তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।'
ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে
ডঃ মাচে জানিয়েছেন যে একই ধরনের প্রযুক্তি হয়ত অন্য কোথাও রয়েছে কিন্তু এটি একেবারে দেশীয় এবং তার মূল্যের জন্য এটি একেবারে অনন্য, যা কয়েক পয়সা মাত্র। তিনি জানিয়েছেন যে বৃহৎ মাত্রায় এই প্রযুক্তির ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে এবং গণ ব্যবহারের জন্য এর ওপর কাজ চলছে। তিনি জানিয়েছেন, যে তারা স্মার্ট পাউচ সিস্টেমের ওপরও কাজ করছেন, যা একই ধরনের একটু বেশি উন্নত জিনিস যেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হবে খাবার আদৌ খারাপ হয়েছে কিনা বা ভালো রয়েছে।
২০২১ সালের প্রথমদিকে ভারতের বাজারে আসবে কোভিড ভ্যাকসিন, দেশে ট্রায়াল চলছে দারুণভাবে