কবে নাগাদ করোনার তৃতীয় ওয়েভ শিখর ছুঁতে পারে? ইঙ্গিত মিলল এসবিআই রিপোর্টে
সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ওয়েভ শিখর ছুঁতে পারে
কোভিড–১৯ মহামারির তৃতীয় ওয়েভ প্রত্যাশিত সময়ের আগেই তা শিখরে পৌঁছবে এবং সেটায় আরও তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এরকমই এক আশঙ্কা করা হয়েছে এই রিপোর্টে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে ডিসেম্বর থেকে গ্রামীণ জেলাগুলিতে করোনার নতুন কেসের বোঝা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
বেঙ্গালুরু এবং পুনেতে সংক্রমণের হার বেশি
মঙ্গলবার এসবিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে শীর্ষে থাকা যে ১৫টি জেলায় সংক্রমণ ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে যেখানে আগে অধিকাংশ সংক্রমণ দেখা দেওয়ার ফলে এই আশঙ্কা করা হয়েছিল। ডিসেম্বরে শীর্ষে থাকা ১৫টি জেলায় করোনা কেস ৬৭.৯ শতাংশ বাড়ে, যেখানে জানুয়ারিতে তা এসে দাঁড়ায় ৩৭.৪ শতাংশ। তবে রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে যে ১৫টি জেলার মধ্যে ১০টি বড় শহর এবং এর মধ্যে বেঙ্গালুরু এবং পুনেতে এখনও সংক্রমণের হার বেশি রয়েছে।
গ্রামীণ কেসলোড কমছে
রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন কোভিড কেসে গ্রামীণ জেলার সামগ্রিক অংশ জানুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.৬ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে সর্বনিম্ন ১৪.৪ শতাংশ ছিল। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়, এটি খুবই কম, যেখানে নতুন কেস ৬.৯ গুণ বেড়েছে। যদিও এটি তার যোগ্য জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি টিকাকরণের দু'টি ডোজ গ্রহণ করেছে।
৬৪ শতাংশের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে
তৃতীয় ওয়েভ শীঘ্র আসার আরও একটি কারণ হল ভারতে যোগ্য জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ সম্পূর্ণ টিকা গ্রহণ করেছে আর এখনও জনসংখ্যার ৮৯ শতাংশ মাত্র প্রথম ডোজ নিয়ে বসে রয়েছে। বর্তমানে ৭ দিনে দেশে গড় টিকাকরণ ৭০ লক্ষ। গ্রামাঞ্চলে মোট টিকাকরণের হার ৮৩ শতাংশ যা ইঙ্গিত করে যে গ্রামের মানুষের বড় অংশ বর্তমান ওয়েভ থেকে যথেষ্ট সুরক্ষিত। অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাত, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা ও উত্তরাখণ্ডে ৭০ শতাংশের বেশি জনসংখ্যার সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে। যদিও পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে এই টিকাকরণ নিয়ে উদাসীনতা দেখা গিয়েছে।
দুই–তিন সপ্তাহের মধ্যে করোনা শিখর ছুঁতে পারে
তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুম্বইতে নতুন করোনা কেস তার শিখরে (৭ জানুয়ারি ২০,৯৭১টি কেস) পৌঁছে গিয়েছে কিন্তু অন্যান্য জেলায় (বেঙ্গালুরু, পুনে ইত্যাদি) দৈনিক নতুন কেস বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসবিআই-এর প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষ রিপোর্টে জানিয়েছে, সুতরাং, যদি অন্যান্য জেলাগুলিও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং করোনা বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করে, তবে এখন থেকে দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় শিখর আসতে পারে।
গ্রামীন কেসলোড বেশি
অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ওড়িশা এবং রাজস্থানে গ্রামীণ করোনা কেস শীর্ষে রয়েছে এবং অরুণাচল প্রদেশ, গুজরাত, হরিয়ানা এবং কর্নাটকে গ্রামীণ টিকাদান অনেক কম।