অগাষ্টেই কি তৃতীয় ঢেউ? দক্ষিণের পাশাপাশি একলাফে অনেকটাই সংক্রমণ বৃদ্ধি উত্তর ভারতে
বাড়ছে উদ্বেগ, গত সপ্তাহের থেকে অনেকটাই সংক্রমণ বৃদ্ধি উত্তর ভারতে
ফের দেশে নতুন করে বাড়ছে করোনা উদ্বেগ। এদিকে ইতিমধ্যেই ব্লুমবার্গের রিপোর্টে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিসংখ্যান বলছে ট্রেন্ড যেদিকে যাচ্ছে তাতে অগাষ্টের শেষেই ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এমনকী অক্টোবরের শেষে তা পৌঁছে যেতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এদিকে ভারতের বর্তমান পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে কেরল সহ দেশের ১৩ রাজ্যেই ফের হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
সর্বাধিক উদ্বেগ কেরলে
তবে এই ট্রেন্ড যে গত কয়েকদিনের এমনটা নয়, গত প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই করোনা ভাইরাসের এই উর্ধ্বমুখী গতিপথ জারি রয়েছে। অন্যদিকে কেরলে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ দেখতে পাওয়া গেলেও সেখানে টেস্টিংও অনেকটাই বেড়েছে। এমনকী প্রতি দশ লক্ষ মানুষে বর্তমানে কেরলে করোনা টেস্ট হচ্ছে 4 হাজার ৫৮৭ জনের। তবে করোনার সামগ্রিক বৃদ্ধি হচ্ছে দক্ষিণের কমবেশি প্রতিটা রাজ্যেই।
করোনা বাড়ছে ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে
অন্যদিকে করোনা বাড়ছে ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলিতেও। জুলাইয়ের ২৬ থেকে অগাস্টের ১ তারিখ পর্যন্ত উত্তরভারতে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই বেড়েছে আগের ৭ দিনের তুলনায়। আর তাতেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। এমনকী শুধুমাত্র হিমাচল প্রদেশেই ৬৪ শতাংশ করোনা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা গোটা দেশের মধ্যেও সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহে যেথানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭০ তা সদ্য শেষ হওয়া সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০০।
ভয় ধরাচ্ছে অন্যান্য রাজ্যগুলিও
ভয় ধরাচ্ছে অন্যান্য রাজ্যগুলিও। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডে আবার ৬১ শতাংশ করোনা বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে জু্ম্মু-কাশ্মীরে আবার ৩৬ শতাংশ করোনা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে খবর। এদিকে আবার করোনা টেস্টে হতাশ করছে রাজস্থান। মরু রাজ্য বর্তমানে প্রতি দশ লক্ষে করোনা টেস্ট হচ্ছে মাত্র ৩৭৮ জনের। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাতেও করোনা টেস্টের পরিমাণ ১ হাজারের নীচে রয়েছে। টেস্টের পরিমাণ বাড়লে আরও বেশি মাত্রায় আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে অনেকের ধারণা।
প্রতি রাজ্যেই নিম্নমুখী করোনা টেস্ট
অন্যদিকে কয়েকটি ব্যতিক্রমি ঘটনা ছাড়া করোনা টেস্ট নিম্নমুখী রয়েছে কমবেশি প্রতিটা রাজ্যে। এমনকী বড় রাজ্যগুলিতে গড়ে প্রতি দশ লক্ষে করোনা টেস্ট হচ্ছে ৩ হাজারের কম মানুষের। অসমে বর্তমানে এই হার রয়েছে প্রতি দশ লক্ষে ৩ হাজার ৫৬৩। দিল্লিতে আবার প্রতি ১০ লক্ষ নাগরিক পিছু করোনা টেস্ট হচ্ছে ৩ হাজার ৩৩৬ জনের। এমতাবস্থায় নতুন করে করোনা ঠেকাতে টিকাকরণে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।
তৃতীয় ওয়েভ রুখতে টিকাকরণে জোর, ভারতে সামগ্রিক টিকাকরণ অতিক্রম করল ৪৭.৭৮ কোটি