বামেদের ডাকা কনভেনশনে তৃতীয় ফ্রন্টের ইঙ্গিত
নীতিশ কুমার যদিও বলেছেন, রাজনৈতিক জোট নিয়ে এখনই বলার সময় আসেনি। তবু বুধবারে বামেডের ডাকা কনভেনশেন সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং ও অন্যান্য অ-কংগ্রেসী ও অ-বিজেপি দলের সঙ্গে নীতিশ কুমারের মঞ্চ ভাগ করে নেওয়াটা সেই তৃতীয় ফ্রন্টের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বামদলগুলি একে রাজনৈতিক জোট না বললেও, কংগ্রেস-বিজেপি দুপক্ষের কাছেই তা মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে চলেছে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের কারণে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ধর্মনিরপেক্ষতাকে মাধ্যম করে ভবিষ্যতে এই জোট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
মুখে না বললেও তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যই দিল্লির সম্মেলনে যোগ দিয়েছে মোট চোদ্দটি রাজনৈতিক দল৷ চার বাম দল বাদে সম্মেলনে এদিন ছিলেন নীতীশ কুমার, শরদ যাদব, মুলায়ম সিং যাদব, দেবেগৌড়া, বাবুলাল মারান্ডি, প্রফুল্ল মহন্ত, প্রকাশ আম্বেদকর, মনপ্রীত বাদল এবং এআইএডিএমকে, এনসিপি ও বিজু জনতা দলের প্রতিনিধিরা৷
অ-কংগ্রেসী ও অ-বিজেপি দলের প্রতিনিধিদের এক জোট করে কেন্দ্রে সরকার গঠনের বিকল্প তৈরির ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়েম সিং যাদব। কিন্তু সে কথা স্বীকারে নারাজ সমাবেশে যোগ দেওয়া দলগুলি। উত্তরপ্রদেশের দাঙ্গা যাতে রাজনীতির অনেক রং লাগিয়ে ফায়েদা তোলার চেষ্টা করছে বিভিন্ন দল, তারই বিরোধিতায় বামেদের বক্তব্য, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে এই ধরণের দাঙ্গা পরিস্থিতি ক্রমশই বাড়ছে। শান্তির আবেদনেই এদিনের সমাবেশ বলে মন্তব্য করেছে বামেরা।
এদিকে বামঘণিষ্ট তেলেগুদেশম প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে এদিন সমাবেশে দেখতে পাওয়া যায়নি। এদিকে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি যে ভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে সামনে নিয়ে আসছে, তা রীতিমতো চিন্তার বিষয়৷ বলে মন্তব্য করেছে সমাজবাদী পার্টি ও বামদলগুলি।